মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:৯ই জুন:- পণ্যসভ্যতা পরিবেশ বিরুদ্ধ ভূমিকা পালন করে তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে। যতদিন মানুষ নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনে পরিবেশকে বদল করেছে, ততদিন পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিলো না। কিন্ত পণ্যসভ্যতা ভোগ ও মুনাফাকেন্দ্রিক। ফলে পরিবেশ নিয়ে তার মাথাব্যাথা নেই। তাই পরিবেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্র পণ্যসভ্যতার আক্রমণের শিকার।
বিশ্ব সমুদ্র দিবসের আলোচনা সমুদ্র দূষণ , যদিও প্রকৃতির একটি ক্ষেত্র আর একটির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। রাচেল কারসান বহুদিন আগে জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে আমাদের সতর্ক করে গিয়েছেন। এই সতর্কীকরণের জন্য তাঁর সময়কালে পণ্যসভ্যতার ধারকদের আক্রমণের শিকার তাঁকে হতে হয়েছিলো। কিন্ত সত্যকথনে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার জল দূষিত করবে। আজ আমরা মর্মে মর্মে টের পাচ্ছি সুপেয় জলের অভাব। অন্যদিকে এই কীটনাশক জলবাহিত হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। সামুদ্রিক প্রাণী আক্রান্ত। সমুদ্র তীরবর্তী বেলাভূমিতে সামুদ্রিক শ্যাওলা মারা যাচ্ছে। মাছ ও অন্যান্য প্রাণী গভীর সমুদ্রে আশ্রয় নিচ্ছে। সামুদ্রিক জীবৰৈচিত্র্য সংখ্যায় ও গুণগতমান ক্রমহ্রাসমান যা প্রকৃতির সমস্ত জীবকূলের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমন কমছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যার প্রভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। এমনকি বৈজ্ঞানিকরা বলছেন এর ফলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা কমছে।
এদিকে পণ্যসভ্যতা ভোগ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির ধনীদের দোরগোড়ায়। তার মধ্যে অন্যতম অতিরিক্ত গাড়ীর ব্যবাহার। যার ফল বায়ুদূষণ ও ররফ গলন। ফলে সমুদ্রের তলদেশের জল বাড়ছে এবং জীবকূল ধ্বংসের সন্মুখীন।
এই সংকটাপন্ন অবস্থায় ১৯০৯ সালে বিশ্বসমুদ্র দিবসে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যা অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু শুধু দিবস পালন নয় কমিউনিস্টদের অগ্রণী হতে হবে,দায়িত্ব নিতে হবে। পণ্যসভ্যতার বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।