জেলা

হুগলি জেলার সংবাদ——–


জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়-চিন্তন নিউজ:২৩শে মে:- —কোতরং হিন্দমোটর নন্দনকানন এলাকায় বসবাসকারী ভারতের সেনাবাহিনীর মেজর পদে কর্মরত ঋত্বিক পাল বর্তমানে ছুটিতে বাড়িতে আছেন। এই করোনা অতিমারী ‘ র দ্বিতীয় ধাক্কার ছুটি কাটাতে বাড়িতে থাকা অবস্থায় তিনি অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিজের খরচে তৈরী করেছেন। আসলে মেজর পদে কর্মরত ঋত্বিক পাল আসলে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সেই পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে তিনি একাধিক অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিজের খরচে তৈরী করে বিভিন্ন সংগঠনের হাতে তুলে দিচ্ছেন।এক একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বানাতে খরচ পড়ছে ৫৫ হাজার টাকা। এই মহতী উদ্যোগে মেজর ঋত্বিক পাল সহযোগী হিসেবে পাশে পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগে কর্মরত সুভাষ দেবনাথ কে। গত ২২ মে, ২০২১ শনিবার এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিজের খরচে তৈরী করে, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও সেনাবাহিনীর মেজর পদে কর্মরত ঋত্বিক পাল এবং তার সহযোগী কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মী সুভাষ দেবনাথ কোতরং হিন্দমোটর এলাকার রেড ভলান্টিয়ারদের হাতে তুলে দেন। সাথে সাথে তিনি কীভাবে এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যবহার করতে হবে, তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ তিনি রেড ভলান্টিয়ারদের হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন। কোতরং হিন্দমোটর এলাকার রেড ভলান্টিয়ারদের কাজ দেখে স্বতপ্রনোদিত হয়ে তারা এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তাদের হাতে তুলে দেন। এছাড়াও তিনি কোতরং হিন্দমোটর এলাকার অশ্বিনী দত্ত নগরের মেঘদূত ক্লাব এর হাতেও একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তুলে দিয়েছেন। রেড ভলান্টিয়ারদের পক্ষ থেকে রজত ব্যানার্জি মেজর ঋত্বিক পাল এবং সুভাষ দেবনাথ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আজ কুমিড়মোড়া তে এক রোগী অসুস্থ বোধ করলে তারা রেড ভলান্টিয়ার্স দের সাথে যোগাযোগ করেন।। শেষমেশ কমরেড সারাবুত মল্লিক যোগাযোগ করেন কমরেড আব্দুল রহমান এর সাথে, আব্দুল এর প্রচেষ্টায় ফ্লো মিটার সহ অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছায় রোগীর বাড়ি এবং রোগীকে সুস্থ করেন।।রাত হোক কিংবা দিন হোক…
খবর পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটছে…. অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেনের মাত্রা মেপে– প্রয়োজনে অক্সিজেন দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলছে…… সারাদিন বিরাম নেই..

আজ শ্রীরামপুর রেড ভলান্টিয়ার্স এর উদ্যোগে তারাপুকুর কোয়ার্টারের কিছু বাড়িতে স্যানিটাইজেসন করা হলো।।

আজ করোনায় আক্রান্ত পরিবারের পাশে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাজির শ্রীরামপুর রেড ভলেন্টিয়ার্স।।আজ “রেড ভলেন্টিয়ার ইটাচুনা” এর উদ্যোগে খন‍্যান ন‌ইপুকুর পাড়ে খেত মজুর দের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হয়।

সন্দীপন সুর—-করোনা মোকাবিলায় রেড ভলেন্টিয়ারদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন বহু মানুষ | কেউ দিচ্ছেন অক্সিমিটার, স্যানিটাইজার অথবা অর্থ সাহায্য | চন্দননগরের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় রায়চৌধুরী মহাশয় সংগঠনের হাতে দশ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন এবং এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অনুরাধা গনাই মহাশয়া পাঁচ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য করলেন | সকলেই আগামী দিনেও রেড ভলেন্টিয়ারদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন |। আজ ঠাকুর বাড়ি এলাকায় স্যানিটাইজ কর্মসূচি পালিত শ্রীরামপুর রেড ভলেন্টিয়ার্স পক্ষ থেকে।।

সায়ঙ্ক মন্ডল—-তারাপুকুর এলাকায় করোনায় মৃত রোগীর বাড়ী ও সংলগ্ন বিস্তৃত অঞ্চলে স্যানিটাইজেশন।

কমরেড মানিক দাস আজ ২৩ শে মে সকাল ৫.৩০ টায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়েছে। তিনি কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কোভিড রীতি মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।