জেলা

অহরহ আক্রান্ত মানুষের জন্য সেবা করে চলছেহুগলি জেলার রেড ভলেনটিয়ার্স


সুপর্ণা রায় : চিন্তন নিউজ:২৩শে মে:– হুগলি জেলার রেড ভলান্টিয়ার্স রা দিন নেই রাত নেই কাজ করে চলেছে আক্রান্ত মানুষের জন্য সেবা করে চলছে।। খবর পেলেই ছুটছে অক্সিজেন সিলিন্ডার,অক্সি মিটার  নিয়ে রোগীর বাড়ী।। যার যেটা প্রয়োজন সেটা রোগীকে দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে , আক্রান্ত দের বাড়ী পুরোপুরি স্যানিটাইজ করে তবে বাড়ী ফিরছে।আবার অনেকেই আড়াল থেকে আক্রান্ত মানুষের সেবা করে চলছে ।। কেউ অর্থ দিয়ে, ওষুধ পত্র দিয়ে।। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকে রাজীব রামপাল —– তাঁর নিজের আপাতত কোনো রোজগার নেই তবু আক্রান্ত মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের জমানো টাকায়।। রাজীব রামপাল এর চুঁচুড়া ঘড়িড় মোড়ে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু রোডেএকটি হোটেল আছে।। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার পর থেকে এবং লকডাউন ঘোষণা ঘোষনা হবার পর থেকেই হোটেলের রোজগার বন্ধ হলেও রাজীব রামপাল এর  কাজের বিরাম নেই।। সকাল থেকেই শুরু হয় হয় তাঁর কর্ম যোগ্য।ক্রেতাহীন হোটেল এ সকাল থেকে চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী খাবার রান্না করে চলেছেন এবং তা প্যাকেট করে রোগীর বাড়ীতে পৌঁছে দিচ্ছেন।। এই ভাবেই তিনি করোনা রোগী দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুরোপুরি বিনামূল্যে তিনি রোগীদের জন্য এই খাবার দিচ্ছেন অথচ তাঁর নিজস্ব কোন রোজগার নেই।। দুপুরে ভাত,ডাল ,ভাজা, সবজি মাছ/ মাংস বা ডিম।। রাত্রে রুটি ,তড়কা বা আলুর দম, চিকেন স্যালাড ইত্যাদি।। একেবারে এলাহি আয়োজন।।আপাতত এই খাবার এখন মোটামুটি এক চল্লিশজনকে পৌঁছে দিচ্ছেন।রাজীব রামপাল বরাবর চুঁচুড়া র লোক নন। আদিবাস অমৃতসরে। ব্রিটিশ আমলে তাঁর দাদু চুঁচুড়া তে বসবাস শুরু করেন।। ধীরে ধীরে চুঁচুড়া র নামজাদা ব্যাবসায়ী হয়ে উঠেন।। কিন্তু প্রথম জীবন একেবারে ই মসৃন ছিল না।। বাবা লড়ী চালাতেন।।পরে তাঁর বাবা বাসের ব্যাবসা শুরু করেন।।তবে রাজীবের জন্ম চুঁচুড়া তেই।। এখানেই পড়াশোনা পরে এখানেই নামজাদা ব্যাবসায়ী হয়ে উঠেন।। রাজীব রামপাল জানিয়েছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে এত অসুবিধা হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ হুগলি জেলাকে সাঙ্ঘাতিক বিপদে ফেলেছে।। আক্রান্ত রা যারা বাড়ীতে রান্না করতে পারছেন না তাদের জন্য প্রান ঢেলে  সেবা করে চলছেন সেই লকডাউন এর প্রথম দিক থেকেই।। খুব যত্ন করে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।। কোন কোন দিন রোগীর জিভে স্বাদ আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাবাব ও প্যাকেটে দিচ্ছেন।। অনেকেই তাঁর এই কাজের প্রসংশা করেছেন।। চুঁচুড়া প্রতাপপুর এক বাসিন্দা রাজীব রামপাল এর এই মানবিক রূপে আপ্লুত।। ঐ বাড়ীর এক বাসিন্দা দীপা পুরকাইত কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে ফেরেন।। ফেরার পর প্রথমে তিনি এবং পরে পরিবারের সকল সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন।। এই সময় রাজীব রামপাল তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করেন।।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।