জেলা

ফেস্টুন ছিঁড়ে, ধমক দিয়ে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না, বুঝিয়ে দিল ‘শ্রমজীবী কিচেন’


গৌতম প্রামানিক: চিন্তন নিউজ:১৩ই নভেম্বর:– গতকাল ১২ নভেম্বর ২০, সিপিআইএম সি‍ঁথি কাশিপুর বেলগাছিয়া এরিয়া কমিটির অন্তর্গত কলকাতা করপোরেশন ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়রাবাগান পেয়ারাবাগান অঞ্চলে আজ ১৩ নভেম্বর ২০, শ্রমজীবী কিচেন কর্মসূচি উপলক্ষে ঝান্ডা ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। কিন্তু, মাঝরাতে কতিপয় সমাজ বিরোধীরা সমস্ত ঝান্ডা, ফেস্টুন খুলে ফেলে দেয়, ভোর বেলায় অঞ্চলের নাগরিকদের চোখে পড়ে, এবং ওনারা হৈচৈ করে পার্টি কর্মী ও নেতৃত্বকে ডাকাডাকি করেন বিষয়টা জানানোর জন্য। পুনরায় অঞ্চল পার্টির সকলে মিলে আরও বেশি করে ঝান্ডা দিয়ে অঞ্চলকে সুসজ্জ্বিত করে তুলেছে। সকলেরই অনুমান ছিল এটা নোংরা তৃণমূলেরি কাজ! কিন্তু, — বেলা বাড়ার সাথে সাথে অভুক্ত সন্মানীয় মানুষেরা তাদের প্রিয় লাল ঝান্ডার কিচেন ক্যাম্পে এসে খাদ্য সংগ্রহ ব্যাপকভাবে জমায়েত হয়। ততক্ষণে পার্টির উচ্চ নেতৃত্ব উৎসাহিত করার জন্য উপস্থিত হন। পার্টির জেলা সম্পাদক কমরেড কল্লোল মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিধানসভা বাম পরিষদিয় নেতা কমরেড সুজন চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কমরেড কনিনীকা ঘোষ, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য কমরেড দেবাশীষ রায়, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ঠিক যখন সাধারণ মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা তুঙ্গে অনাহার মানুষ সরকারি উদাসীনতায় তাদের অধিকারের বলে খাদ্য সংগ্রহের জন্য উপস্থিত ঠিক সেই সময় গতকাল রাতের ঘটনার সন্দেহের তীর যেদিকে ছিল, তারাই কর্মসূচিস্থল-এ উপস্থিত হয়ে মানুষের ঝান্ডা লাল ঝান্ডা খুলে ফেলার জন্য হুমকি দিতে লাগলো। এদিকে উল্লেখযোগ্য ভাবে খাদ্য সংগ্রহকারীদের দেখা গেলো ঐ অসভ্যতামীকে কোনো আমল না দিয়ে বাড়ি রওনা দিলেন এবং কমরেডদের লড়াকু মেজাজের কাছে কার্যত নতিস্বীকার করে চলে যেতে বাধ্য হলো। যে অঞ্চলে শাসকদলের দাপাদাপিতে তটস্থ হয়ে থাকে মানুষ, সেখানে সেই জনসমক্ষে মাথা নত করে তৃণমূলদের ফিরে যেতে হলো। কারণ, সৎ প্রচেষ্টায় অন্যায়ের পরাজয় নিশ্চিত।

অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এই কর্মসূচি আজ সফল হয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।