জেলা

হুগলি জেলার সংবাদঃ-


চিন্তন নিউজঃ- ৫ই নভেম্বর:–জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ঃ- কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কোতরং’র একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন বাম ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রবীণ নেতা কমরেড সঞ্জীব সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল নব্বই বছর। তিনি রেখে গেছেন পুত্র, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতনি সহ অগণিত গুণমুগ্ধ। তিনি ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী ) কোন্নগর এরিয়া কমিটির অন্তর্গত প্রত্যক্ষ দুই নম্বর শাখার পার্টি সদস্য।
১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক রেল ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী এবং সে কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত কমরেড সঞ্জীব সেন গত শতাব্দীর সাতর দশকে আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের সময় গড়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক-শিল্পী ও কলাকুশলী সম্মিলনীর সঙ্গে প্রথম থেকেই যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক-শিল্পী সংঘের রাজ্য ও জেলা নেতা। নাট্য সমালোচক, গবেষক, নাট্যকার, নাট্য বিচারক এই বিদগ্ধ মানুষটি কলকাতা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেন।
নাট্যশিক্ষা কেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান থিয়েটার আর্টসের ( আইটা ) অধ্যক্ষ ছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তিনি পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির সদস্য ছিলেন। তাঁর লেখা নাটক বেতার ও মঞ্চে অভিনীত হয়েছে। নাট্য বিচারক হিসাবে গোটা রাজ্যে তাঁর খ্যাতি ছিল। তাঁর লিখিত কয়েকটি বই হলো- ১) স্তানিস্লাভস্কি ও ব্রেশট, ২) রবীন্দ্রনাথ,ব্রেশট ও অন্যান্য ভাবনা, ৩) থিয়েটারের চালচিত্র, ৪) থিয়েটার থিয়েটার প্রভৃতি। রবীন্দ্রানুরাগী হিসাবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
কোভিড বিধি মেনে হাসপাতালে ও শ্মশানে শ্রদ্ধা জানান পার্টি নেতা জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, শ্রুতিনাথ প্রহরাজ, এরিয়া কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্তী, পার্টি নেতা গৌতম কর সহ অন্যান্য উপস্থিত কমরেডগণ এবং পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের নেতা অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও ভারতীয় গণনাট্য সংঘের নেতা ভোলানাথ মুখোপাধ্যায়। পার্টি ও সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রয়াত কমরেডের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

জয়দেব ঘোষঃ-হাতনী গ্রামে জমি থেকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল। খেটে খাওয়া ক্ষেতমজুর পাশে “লালঝাণ্ডা” লড়ছে লড়বে।কমরেড লড়াইটা চালিয়ে যান আমরা সঙ্গে আছি।

শ্রীরামপুরের কাকিবাবুর শ্মশান অনেকদিন ধরেই বন্ধ। প্রশাসন আরেকটু তৎপর হোক। আজকে দেখলাম কোন কাজ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে না যে কিছু কাজ হয়েছে। বহুদিন ধরে মন্দিরটা ঐরকম ভাবে ভেঙে পড়ে রয়েছে। হয়তো শিব ঠাকুর তলায় চাপা পড়ে আছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।