জেলা

হুগলি বার্তাঃ –


চিন্তন নিউজ:- ভাস্কর রায়ঃ- উপরের যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে ঐ ঘরে দাঁড়িয়ে আছে রাখি মালিক,২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএম এর প্রার্থী ছিল।ঐ ঘরে রাখি দুই ছেলে মেয়ে ও স্বামী নিয়ে খুব কষ্টে থাকে। স্বামী ,বাপি রাজমিস্ত্রির কাজ করে। ঘরের ভেতরে রাখির ছোট মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছোট্ট দুয়ারে রান্না করে।১২ বছরে আবাস যোজনার টাকা পায়নি রাখি।এই পাড়ায় রাখির মত ঘর অনেক আছে।পেটাই লোক ছাড়া কেউই কিছু সুযোগ সুবিধা পায়নি।আজ ২৮/২/ ২৪ তারিখে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোঘাট এক নম্বর এরিয়া কমিটির ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে গণসংযোগ ও গণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে এই ছবিই দেখা গেল।মোট ৫৩ টি বাড়িতে যাওয়া হলো এবং ১৪০০ টাকা সংগ্রহ হল। রাগে ঘৃণায় ফুঁসছে গোবিন্দপুর গ্রামের চারটি বুথের খেতমজুর ও প্রান্তিক চাষী বন্ধুরা। শুধু সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।উল্লেখ্য যে ,গোবিন্দপুর গ্রামে চারটে বুথ।পঞ্চায়েতের চারটে সিট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে চারটে সিটে সি পি আই এম এর প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তার মধ্যে কল্পনা রায় ছিলেন জয়ী প্রার্থী। আর একটি বুথে প্রার্থী রাখি মালিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সে ভোট পেয়েছিল ৪৮২ ।তৃণমূলের প্রার্থী পেয়েছিল ৪৩২ ।কাউন্টিং শেষে তৃণমূলীরা হৈ হট্টগোলের মধ্যে হুরকুসটো করে রাখি মালিক কে হারিয়ে দেয়। সি পি আই এম এর প্রার্থীসহ এজেন্ট দেরকে মেরে বের করে দেয়। পুলিশ ও প্রশাসন যোগসাজশে প্রার্থী রাখি মালিক কে সার্টিফিকেট দিল না। এই গ্রামের আরও দুটি সীটে সিপিআইএমের প্রার্থী ছিল সেখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। আজ গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষ বলেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের শোধটা এবার লোকসভা নির্বাচনে ব্যালট বাক্সে দিয়ে দেব।১৯৮০ সালে ৮ টাকা ১০ পয়সা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট চলছিল গোবিন্দপুর গ্রামে। চারদিনের দিন বড় জমির মালিক নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালাল খেতমজুরদের মিছিলে ।আহত হলেন কয়েকজন খেতমজুর।আন্দোলনরত খেতমজুররা আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে মজুরির দাবি আদায় করে ছেড়েছিল। এই সেই গোবিন্দপুর গ্রাম।

গোঘাট ১ নম্বর এরিয়া কমিটির অন্তর্গত বালি শাখার উদ্যোগে – বালি গ্রামে, সকাল ৯ টা থেকে গনসংগ্রহ ও গনসংযোগ কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন কমরেড কালী দাস , কমরেড স্বপন পাত্র, কমরেড উত্তম দত্ত, শুরুতে ছিলেন কমরেড বৃন্দাবন মুখী। পরিবার ও টাকার পরিমাণ, বিকালে জানানো হবে। বিকাল ৪ টা থেকে লক্ষীপুর গ্রামে দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু হবে।গোঘাট ১ নম্বর এরিয়া কমিটির অন্তর গত বালি শাখার উদ্যোগে,বালি গ্রামে সকালে ২৪টি পরিবারে ২৮০ টাকা , বিকালে লক্ষীপুর গ্রামে পরিবার ৩০ টা , ৪৪০ টাকা সংগ্রহ করা হয়। বিকালে উপস্থিত ছিলেন কমরেড আনন্দ সরেন, কমরেড কালী দাস, কমরেড বৃন্দাবন মুখী ।

আজ ২৮ ।২ ।২৪ তারিখে গোঘাট এক নম্বর এরিয়া কমিটির গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নবাসন গ্রামে গণসংযোগ ও গণসংগ্রহ আমোদপুর কাঁটালি শাখার উদ্যোগে কর্মসূচি সকাল থেকে শুরু হয়ে বেলা একটা নাগাদ শেষ হয়। ২৪ টি পরিবারে যাওয়া হয়, তাদের বক্তব্য শোনা হয়, লিফলেট দেওয়া হয় ।মনোযোগ দিয়ে লিফলেট তারা পড়ছে।তারা জানতে চায় ,বুঝতে চায় —তার মধ্য দিয়ে ৬৪০ টাকা সংগ্রহ হলো।

গোঘাট দুই নম্বর এরিয়া কমিটির বদনগঞ্জ ফুলুই দু নম্বর অঞ্চল ।চাকরান গ্রামে 30টি পরিবারে জনসংযোগ ও লিফলেট বিলি ও 330 টাকা সংগ্ৰহ করা হল। উপস্থিত ছিলেন । কমরেড মাধব বিশ্বাস । সন্টুপাল । সুদীপ বৈরাগী । ধমেন্দ্র বায়েন।

সোমনাথ ঘোষঃ- শিয়াখালা তেঁতুলতলায় জনসংযোগ ও গণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে আমরা ।

দেবারতি বাসুলীঃ-পুড়শুড়া দক্ষিণ এরিয়া কমিটির অন্তর্গত হাটী গ্রামের মাইতি পারায় জনসংযোগ ও গণ অর্থ সংগ্রহের কর্মসূচি পালন করা হয়।

পুড়শুড়া দক্ষিণ এরিয়া কমিটির অন্তর্গত শ্রীরামপুর অঞ্চলের শ্রীরামপুর ব্রাঞ্চের গণসংযোগ ও গণ অর্থ সংগ্রহের কর্মসূচি চলছে।

সিঙ্গুর দক্ষিণ এরিয়া কমিটির বলরামবাটি শাখা এলাকায় জনসংযোগ ও গণঅর্থ সংগ্রহের কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ সাঁতরা,অনিল দাস অরুণ সিংহ,রণজিৎ চ্যাটার্জী।

সিঙ্গুর উত্তর এরিয়া কমিটির বেড়াবেড়ী শাখার গণ অর্থ সংগ্রহ । ৪১ টি বাড়ি ঘোরা হল । মোট সংগৃহীত অর্থ ১১০০ টাকা ।

কামারপুকুর অঞ্চলের ২নাম্বার শাখার শ্রীপুর গ্রামে গন অর্থ সংগ্রহ ও জনসংযোগ কর্মসূচি করা হয়, ১৫ টা বাড়িতে যাওয়া এবং ৪০০ টাকা সংগ্রহ করা হয় ,উপস্থিত ছিলেন তারাপদ সেনগুপ্ত ,শ্রীকান্ত চক্রবর্তী ,আশিষ রায়।

বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েতের ৬০ নং বুথে জনসংযোগ গন অর্থ সংগ্রহ সিঙ্গুর উত্তর এরিয়া কমিটি।

সিঙ্গুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ নং রতনপুর কালুরায়তলা কর পাড়ায় জনসংযোগ ও গণসংগ্রহ সিঙ্গুর উত্তর এরিয়া কমিটি।

আজ পোলবা এরিয়া কমিটির আকনা গ্রামে জনসংযোগ ও অর্থ সংগ্রহ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।