জেলা

হুগলি বার্তাঃ –


চিন্তন নিউজ:১৮/০৯/২০২৩:- অর্পিতা ব্যানার্জীঃ- পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির কোতরং এর অন্যতম সংগঠক। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী ও কোতরং-হিন্দমোটর এরিয়া কমিটির অধীন বিশেষ শাখার সদস্য কমরেড দেবী বৈশ্য আজ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন। হিন্দমোটর রেলপাড় বস্তি অঞ্চলের মানুষের প্রিয় ‘দেবী’ দি হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। কমরেড দেবী বৈশ্য-এর প্রয়ানে গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি রইলো সমবেদনা।

প্রদীপ চক্রবর্তীঃ-বাঁশবেড়িয়ায় ৩১ ভাদ্র উদযাপন হ’ল আজ শরৎ জন্মদিনে শরৎ শতাব্দী সরণি ধোপাঘাটে মোড়ে হাজির ছিলেন অনেকে। শিক্ষক সত্য নারায়ণ পাল, শিক্ষক শিবচরণ দাস, শিক্ষক তারাপ্রসাদ সাঁতরা, অধ্যাপক শিবতোষ ব্যানার্জি, ডাক্তার সুব্রত ঘোষ, সংগঠক চপল শেঠ, স্থানীয় কাউন্সিলর তাপস মুখার্জি, হিমাদ্রি চ্যাটার্জি, স্বপন দে, গৌরাঙ্গ কুন্ডু, শ্রমিক নেতা সুব্রত দাশগুপ্ত, প্রদীপ চক্রবর্তী, নীলমণি দাস,
সংগঠক দোলন চৌধুরি সহ আরো বেশ কয়েকজন অনুরাগী সহ পথ চলতি মানুষ, দোকানদার ও স্থানীয় মানুষ।
এক ঘন্টা ধরে শরৎচন্দ্র মূর্তি ঘিরে রাস্তায় দাঁড়িয়েই সবাই আলোচনা করেন। সঞ্চালনা করেন তারাপ্রসাদ সাঁতরা । তিনি ছাড়াও আলোচনা এবং যৌথ কথোপকথনে ছিলেন প্রদীপ চক্রবর্তী, শিবতোষ ব্যানার্জি , প্রবীণ শিক্ষক সত্যনারায়ণ পাল এবং স্থানীয় কাউন্সিলর তাপস মুখার্জি , দোলন চৌধুরি।
বাঁশবেড়িয়া(খামারপাড়া) গ্রামের পশ্চিমে সপ্তগ্রাম এবং দেবানন্দপুর, দক্ষিণে হুগলি । গঙ্গাস্নানে যাবার সময় এবং ব্রাঞ্চ স্কুলে পড়তে যাবার কালে শরৎচন্দ্র নিশ্চয় এই পথগুলি ব্যবহার করতেন। সে সময় বাঁশবেড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপিত হয়ে গেছে(১৮৯১)। ‘
মহেশ’ গল্পে গফুর আমিনা চলে যাচ্ছে শরৎচন্দ্র উল্লিখিত ফুলবেড়ের চটকলে। ১৩২৯ বঙ্গাব্দ (১৯২২খ্রিস্টাব্দ) মহেশ গল্পটি হরিলক্ষ্মী নামক গল্প সংকলনে ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
হিসেব করে যা পাওয়া যাচ্ছে, তখন শিবপুরের
গ্যাঞ্জেস জুটমিল বসেনি বলে জানা যাচ্ছে , কয়েক বছর পর উৎপাদন শুরু হয়; তবে সাহাগঞ্জে রাবার কারখানা বসার আগে সেখানে চটকল তৈরি হয়, ঠিক এই সময়েই।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কি ‘ফুলবেড়ে’ বলতে ‘বাঁশবেড়ে’কে এভাবেই তার সাহিত্যে উল্লেখ করতে চেয়েছেন!!(গবেষকরা আলোচনা করুন।) বাঁশবেড়িয়ার উপর দিয়ে চলে গেছে চুঁচুড়া মগরা(ত্রিবেণী) রাস্তা। এখানেই ধোপাঘাট মোড়।
ধোপাঘাট থেকে পশ্চিমে যে রাস্তা চলে গেছে কাটোয়া রেল লাইন টপকে মিঠাপুকুর হয়ে আদিসপ্তগ্রামের রেল স্টেশন এবং আর একটু গেলে (G T ROAD)গ্রান্ট ট্রাঙ্ক রোড,
এই রাস্তাটির সাবেক নাম ছিল ত্রিশ বিঘা রোড,
যা পরবর্তী কালে নামকরণ হয় শরৎ শতাব্দী সরণি। এই রাস্তা যেখানে আদিসপ্তগ্রাম জি টি রোডে মিশেছে, প্রায় সেখান থেকে বাঁদিকে অর্থাৎ দক্ষিণে যে রাস্তা চলে গেছে ব্যাণ্ডেল , সেই রাস্তার উপরেই পড়ছে দেবানন্দপুর মানে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নিজের গ্রাম।
আবার ব্যাণ্ডেল স্টেশন থেকে যে রাস্তা জি টি রোড টপকে হুগলি দিকে যাচ্ছে, সেখানে একটি দীর্ঘ রাস্তাও শরৎচন্দ্রের নামে রয়েছে অনেক আগে থেকেই । নাম শরৎ সরণি ।
বাঁশবেড়িয়া দিকের শরৎ শতাব্দী সরণি নামকরণের উদ্যোগ যিনি খুব বেশি দেখিয়েছিলেন, তিনি হচ্ছেন প্রয়াত প্রদীপ বসু। ১৯৮১ সালে নির্বাচিত পুরসভা গঠনের সময় কাল থেকেই তাঁর এই উদ্যোগ শুরু হয়। তাঁর সাথে যোগ্য সংগত করেন কাউন্সিলর তাপস মুখার্জি । তারপর উদ্যোগ শুরু হয় মূর্তি স্থাপনার। মূর্তি তৈরির উদ্যোগ নেন বাঁশবেড়িয়ার শিল্পী ও ভাস্কর প্রয়াত কেদারনাথ শেঠ। তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে সামান্য ত্রুটি হয় বলে পরবর্তীকালে তিনি আবার নতুন করে মূর্তি তৈরি করতে শুরু করেন। বর্তমান মূর্তিটি কেদার শেঠের নবনির্মাণ করা।
১৯৯৭ সালে শরৎচন্দ্র জন্মদিনে মূর্তি প্রতিষ্ঠা কালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আবরণ উন্মোচন করেন তৎকালীন পুরপ্রধান অমিয়কুমার কুণ্ডু । প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন কাউন্সিলর তাপস মুখার্জি ।

তারপর থেকেই ধোপাঘাট মোড়ে প্রতিবছর শরৎচন্দ্র জন্মদিবস ৩১ ভাদ্র উদযাপন হয়ে আসছে। তখন এই বিশেষ দায়িত্বে অগ্রপথিক ছিলেন বাঁশবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সত্যনারায়ণ পাল। সাথে থাকতেন ভোলাবাবু(শেঠ) , হারাধনবাবু দীপক রাউত । এখন তাঁরা সবাই প্রয়াত ।

এখন থেকে দোলন চৌধুরি এই কর্মসূচি পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করছে। ওদের নেতৃত্বে ৬নম্বর ওয়ার্ড নজরুল জন্ম ১২৫ তৈরি হয়েছে ,কর্মসূচি হয়েছে। আগামী বছর কবি নজরুলের ১২৫ জন্মবার্ষিকী রয়েছে। ২০২৬ সালে শরৎচন্দ্রের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মশতবর্ষ ।
গুরুত্ব সহকারে এই সমস্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

চৈতালি নন্দীঃ-আজ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্র স্মারক সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম দেবানন্দপুরে আমরা অনুষ্ঠান করতে পারলাম। উপস্থিত ছিলেন ৮০/৯০ জন। স্বরচিত অণুগল্প ও কবিতা পাঠ করেন ৩০ জন।

শান্ত বড়ালঃ-ডিওয়াইএফ‌আই ব্যান্ডেল কোদালিয়া আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত দেবানন্দপুর শাখার উদ্যোগে জাতীয় স্তরে ক্যারাটে লিগে দেবানন্দপুর এর ১৩ বছরের দেবযানী দাস সোনা অর্জন করায়, তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়।

তরুণ চ্যাটার্জীঃ-আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শ্রীরামপুরে এসে সিপিআই(এম) হুগলী জেলার অন্তর্গত ডানলপ-বাঁশবেড়িয়া-চন্দ্রহাটি এরিয়া কমিটির ১৪নং শাখার দীর্ঘদিনের পার্টি সদস্যা কমরেড মিরাশ্রী বিশ্বাস জেলা জুড়ে দরিদ্র মানুষদের সাহায্যে জন্য নিজের সঞ্চয়ের থেকে ১লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং হুগলী জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড দেবব্রত ঘোষের হাতে তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড মনোদীপ ঘোষ, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড রামকৃষ্ণ রায় চৌধুরী, জেলা কমিটি ও ডানলপ-বাঁশবেড়িয়া-চন্দ্রহাটি এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড অনির্বান সরকার সহ অন্যান্যরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।