জেলা

হুগলি বার্তাঃ –


চিন্তন নিউজ: ১৭/০৯/২০২৩:–অরিত্র শীলঃ-কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের জন্ম হুগলী দেবানন্দপুরে। ১৯৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিবছর নিয়ম করে ১৭ সেপ্টেম্বর শরৎচন্দ্রের জন্মভিটের পাশে লাইব্রেরির চৌহদ্দিতে বসতো কবিতা ও ছোট গল্প পাঠের আসর। যা ছিল জন্মদিনে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। প্রায় একবেলার অনুষ্ঠান। সেরা লেখাটিকে পুরস্কৃতও করা হতো। পরে পরে অনুষ্ঠানে যুক্ত হলো হুগলী জেলা পরিষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৃষ্টিশীল মানুষেরা এসে তাঁদের লেখা শুনিয়ে গেছেন শ্রোতাদের। ক্রমে ক্রমে বিষয়টি উৎসবের পর্যায়ে পৌঁছায়। হঠাৎ বাধা এলো ২০১৩ এর পর থেকে । যাদের হাত ধরে এই অনুষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়, পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ হুগলি জেলা কমিটি… তাদেরকে কোন আমন্ত্রণ না করে, তাদেরকে বাদ দিয়েই প্রক্রিয়া চলতে লাগলো। লেখক শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে কবিতা ও গল্প পাঠ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রতিবারই কোনো কারণ ছাড়াই লেখক শিল্পী সংঘকে বাদ দেওয়া হতে থাকে। লেখক শিল্পী সংঘ এরপরে, কিছু দূরে বিকল্প স্থানে কর্মসূচিটি চালিয়ে যাচ্ছিল। শুধু লাইব্রেরি চত্বর নয়, দেবানন্দপুর এর আশেপাশের এলাকাতেও এই কর্মসূচি পালনের উপযুক্ত সুযোগ, পরিসর, সহযোগিতা মিল ছিল না। শেষ পর্যন্ত এবছর জেদ করেই লেখক শিল্পী সংঘের উদ্যোগে শরৎচন্দ্রের জন্মভিটের খুব কাছেই দক্ষিণপাড়া অঞ্চলে স্থানীয় সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজনের আন্তরিক সহযোগিতায় ৫০ জনের মতো কবি, গল্পকার ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে এবং আরো বহু শ্রোতার উপস্থিতিতে কবিতা ও অনুগল্প পাঠের অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করা গেল। বাধা ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে কিছু আগুন ও ফুলের অক্ষর, মেহনতী উচ্চারণ ‘সংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রাথমিক পাঠ’ দিল আমাদের। এখন সময় বলবে এই ‘পাঠ’ আগামী চেতনাকে কতটা শাণিত করবে ।

অশোক গাঙ্গুলিঃ-চন্দননগর ১৭ নং ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিক কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের প্রাক্তন শিক্ষক সকলের প্রিয় মাষ্টার মশাই ফকির বাবু (ফকির মহম্মদ) আজ বেলা ১১-৪৫ মিঃ ভদ্রেশ্বরের অঙ্কুর হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বৎসর। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে নাটকের নির্দেশক হিসেবে তাঁকে পেয়েছে। আবার সরস্বতী পূজার আয়োজনে তিনি ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সকলের শ্রদ্ধার পাত্র।
পৌর নির্বাচনে অশোক গাঙ্গুলি র জয়লাভে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন এবং কিভাবে এলাকায় কাজ করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শও দিতেন। আজ চালকেপাড়ায় তাঁর বাড়িতে মরদেহ শায়িত থাকবে। আগামীকাল দুপুরে হুগলী কারবালায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।