রাজ্য

মরুস্থলে দেবতা |


রোহন ঘোষ:-নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯/০৯/২০২৩:– -পশ্চিমবঙ্গ প্রধানত হুগলি জেলা ছিল শিল্পের কেন্দ্রস্থল এবং বর্ধমান কৃষি সমৃদ্ধ কিন্তু বর্তমানে যা আজ অতীত যেমনভাবে বেশিরভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে শহর অঞ্চলে কাজের আশায় দিন যাপন করছে ঠিক তেমনি হুগলি জেলার শ্রমিক রা বিভিন্ন নির্মাণ কাজে নিজেদের যুক্ত রেখেছে এবং কিছু শ্রমিক পরিযায়ী হয়ে কোনক্রমে দিন কাটাচ্ছে বাইরে রাজ্যে।

২০০৪ সালের পর বিশ্ব মন্দার ফলে প্রথম আমাদের দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গের এক বিপুল ক্ষতি সাধন হয় একের পর এক কলকারখানা দেশীয় শিল্প বন্ধ হতে থাকে তবুও নয়া উদ্যমে কাজ শুরু করার জন্য তৎকালীন সময়ে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার শিল্প আনার প্রয়াস করে কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দল যারা আজ সরকারে তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে করে সেই কাজ হতে দেয়নি তার ফলস্বরপ পশ্চিমবঙ্গ আজ শিল্পের শ্মশান ভূমি।

আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজনৈতিক দলাদলি এবং সরকারের শিল্প উদাসীন অনুভব পশ্চিমবঙ্গ কে শিল্প থেকে বহু দূরে নিক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলাকে শিল্পাঞ্চল বলা হত তা আজ প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একের পর এক চটকল, থেকে শুরু করে ধাতু নিষ্কাশন কল কারখানাগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ তাই এই সময় বিশ্বকর্মা পুজো বাঙালির প্রিয় উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো সম্ভব? বা বলা যায় এক হাস্যকর পরিস্থিতি যেখানে শিল্প নেই সেখানে শিল্পের দেবতার পুজো?তবুও মানুষের বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গ আবার শিল্পের অগ্রদূত হবে এই বিশ্বাসেই বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে, জগদ্ধাত্রী পুজোও হবে যদিও তা জাঁকজমক হীন, আলোহীন দিশেহারা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।