চিন্তন ওয়েব ডেস্ক, দুর্গাপুর,২৮ শে ফেব্রুয়ারি:দুর্গাপুরের এ এস পি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ আছড়ে পড়লো জি এম দফতরে, ১১ দফা দাবি নিয়ে সিআইটিইউ এর নেতৃত্বে বিক্ষোভে শামিল হলো বহু শ্রমিক।দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া দাবি নিয়ে আলোচনা চলছিল কর্তৃপক্ষের সাথে।ইউনিয়ন নেতৃত্বের অভিযোগ দীর্ঘদিন টালবাহানার ফলেই এই বিক্ষোভের আয়োজন।
NEPP Review – Good Progressive allowance – এর ( ৩০০ ) টাকা বন্ধ হলাে , কিন্তু NEPP রিভিউ হলাে না । Plate Mill এর শ্রমিকদের নিয়ে খামখেয়ালী সিদ্ধান্ত , SMS – এ দৈনন্দিন অব্যবস্থা , Conditioning বিভাগে কাজ দেখা শােনায় সমস্যা – অথচ NEPP review হবে না । হলে এই সব সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একটা পথ পাওয়া যেত এবং শ্রমিক বন্ধুরা খুশীমনে নিজের কাজে আরও বেশী মনােযােগী হতে | পারতেন । Canteen Allowance – কয়েকটি বিভাগের ( ডি এস পি – এ এস পি ) মার্জিং হলাে কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেশ । কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত পৃথকই থাকছে । ক্যান্টিন অ্যালাউন্স কেন ডি এস পি – র অনুরূপ হবে না ? আর কোম্পানীর পরিষেবা পেয়েও কারখানার ক্যান্টিন গুলি ভালভাবে চলছে না । দেখার কেউ নেই । এই অব্যবস্থা দুর করতে হবে । অ্যালাউন্সের বৈষম্য দূর করাতে হবে অবিলম্বে । ( Rehabilitation – এতদিন ধরে চলে আসা এই যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতি নস্যাৎ করে , তা এখন কর্তৃপক্ষের মঞ্জিতে পরিণত হয়েছে । শ্রমিকের শারীরিক অসুস্থতা বিচারের ভার এখন ডাক্তারবাবুদের হাতে নয় , উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের । | হাতে । তাই অসুস্থ শ্রমিককে ক্রেন বা কোন ঝুঁকিপূর্ণ উৎপাদনের কাজে রেখে , সুস্থ ব্যক্তিকে উৎপাদন ইউনিট থেকে তুলে সার্ভিস ‘ ইউনিটে বসানাে যায় । আমরা যে কোন অসুস্থ শ্রমিকের জন্যই ঐ Rehabilitation ব্যবস্থার পুনঃ প্রবর্তন এর দাবি । Sports – এতদিনের ব্যবস্থা বাতিল । পছন্দের কাউকে কাউকে ডেকে কর্মভার অর্পন , সিদ্ধান্ত একার এই হলাে । খেলাধুলা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের চলন বলন । কতটাকা কিভাবে কোথায় খরচ হবে , কেমন ভাবে খেলাধুলার মানােন্নয়ন ঘটবে , এই সব বিষয়ে শ্রমিকদের , তাদের প্রতিনিধিদের কোন ভূমিকা নাই বা থাকবে না । Exit Pass – খাঁচায় বন্দী শ্রমিকদের কাছে কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারীতার এটা সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ । ডিউটিতে । থাকা শ্রমিকদের জরুরী প্রয়ােজনে গেটের বাইরে যাবার প্রয়ােজন হলে Exit Pass পেতে যে হয়রানির মুখে পড়তে হয়।তার সুস্থ্য পদ্ধতির দাবি।
খালি কোয়ার্টার নিয়ে বেআইনীভাবে দখল , জবরদখল , ঐ সব কোয়াটারে জল , পয়ঃ – প্রণালী সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ , তার জন্য যে ক্ষতি হয় তা বিদ্যুৎ বিল , জল ইত্যাদির মাধ্যমে শ্রমিক বেতন থেকে অন্যায় ভাবে কাটা হয় । এই সব বন্ধ করে লাইসেন্সিং চালু করার দাবি । Contract Worker – চরম বঞ্চনা , চরম নির্যাতনের শিকার ঠিকা শ্রমিকরা । স্থায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে একই কাজ অথচ ২১০০০ / ১৮০০০ টাকার গল্প তাে দূরের কথা VDA ও সবটা পাচ্ছে না । ছুটিও তাই । নি নুতন কাজের চাপ বাড়ানাে হচ্ছে । আবার কোথাও মাসে কয়েকদিন মাত্র কাজ । PE , ESI নিয়ে হয়রানি চলছেই অবসরের পর পেনশন – সে তাে দূর অস্ত ।
বর্তমানে শ্রমিকদের উপরােক্ত দাবীগুলি নিয়ে সংগঠিত হলো বিক্ষোভ।