জেলা

হুগলি বার্তাঃ


চিন্তন নিউজঃ /০৮/১০/২০২২:– – সুদীপ্ত সরকারঃ-পরিবর্ত্তনের বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত নয়। এবার জাঙ্গীপাড়া থানার রাধাণগর অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম কৃষ্ণপুর। দশমীর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে পূজা মন্ডপে গিয়ে আর ঘরে ফেরেনি ১৩ বছরের কিশোরী লিলি মালিক। ঐদিন অনেক খোঁজ করেও কোনও রকম খবর না পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন কিশোরীর পরিবার। জাঙ্গীপাড়া থানার ডিউটি অফিসার পরিবারের লোকজনকে ভালো করে খোঁজ খবর নেওয়ার পরামর্শ দেন। নিখোঁজ কিশোরীর কোনও রকম খোঁজ না পেয়ে পরদিন অর্থাৎ ৬ই অক্টোবর সকালে পুনঃরায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ কিশোরীর পিতা সৌমেন মালিক। তাঁর অভিযোগ ঐদিন তাঁকে কোনও ডায়রী নং প্রদান করা হয়নি এবং আরও অভিযোগ দরখাস্তে তারিখ উল্লেখ করেননি ডিউটি অফিসার। প্রতিদিন নিয়ম করে থানার সাথে যোগাযোগ করেছেন সৌমেনবাবু । কোনও আশ্বাস মেলেনি পুলিশের কাছ থেকে।
আজ ৮ই অক্টোবর সকালের দিকে কৃষ্ণপুর গ্রামের উত্তরে নেগুড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ডাকাতিয়া খালের পশ্চিমে ঝিলের জলে ঐ কিশোরীর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন এলাকার লোকজন। থানায় খবর যায়। থানার ও সি পুলিশ বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হলে এলাকার মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশি নিস্ক্রিয়তা ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ চলতে থাকে। কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে উত্তজিত জনতার বাধার মুখে পড়তে হয়। কিশোরীর এক আত্নীয় আমাদের পার্টির কর্মী হওয়ার কারণে ঘটনার প্রথম দিন থেকেই ঐ অঞ্চলের পার্টির নেতৃত্ববৃন্দ পরিবারটির সাথে যোগাযোগ রাখেন। সুদীপ্ত ঘোষ, প্রদীপ চ্যাটার্জী, প্রশান্ত পাকিড়া সহ অন্যান্য নেতৃত্বগণ ঘটনাস্থলেই আছেন। পরিবারটির দাবী মেনেই আর পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক ও জেলাশাসকের আশ্বাসে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে রওনা দেয়। জাঙ্গীপাড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুদীপ্ত সরকার বলেন সরকার আজ বিসর্জনের কার্ণিভালে ব্যস্ত । এদিকে ফুটফুটে এক নিখোঁজ কিশোরীর তদন্তে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারনে প্রাণ বিসর্জন হয়ে গেল। আবারও প্রমাণ হল, এই বাংলায় মহিলারা নিরাপদ না।পার্টির পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করা ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য দাবী জানানো হয় ।

গুরুদাস ব্যানার্জীঃ-সুপ্রিতী সিং হুগলী জেলার রাজহাট এর বাসিন্দা । আর পাঁচ টা মেয়ের মত পূজোর দিনগুলো ভালো শাড়ি পড়ে পরিবারের সাথে ঠাকুর দেখতো পারতো , রেষ্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরতো । দেশের সরকারী নীতিতে সেই অধিকার সমাজের ৫-৭ % মানুষ কে বাদ দিলে বাকি সমস্ত মানুষকে পরিবারে দু মুঠো অন্ন জোগার করতে শারদীয়া উ্ৎসবেও কাজ করে অর্থ রোজগার করতে হয়। সুপ্রীতি সিং ফ্লিপকার্ট কোম্পানিতে কাজে যুক্ত হয়ে বাড়ি বাড়ি মাল পৌছে দিচ্ছে । মেয়েরাও ছেলেদের মত পরিবারের দায়িত্ব তুলে নিচ্ছে । সমান অধিকারের সাথে সাথে সমান দায়িত্ব পালন করছে ।

সোমনাথ ঘোষঃ-চন্ডীতলা ১ নং ব্লক কৃষক সভা এলাকার গঙ্গাধরপুর বাজারে গণ অর্থসংগ্রহ কর্মসূচি।উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক সভার সভাপতি কমরেড ভক্তরাম, জেলা কৃষক সভার সদস্য কমরেড সোমনাথ ঘোষ, কমরেড অশোক নিয়োগী, কমরেড সন্তোষ ঘোষ, কমরেড সুব্রত দাস সহ অন্যান্যরা।

P

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।