পম্পা নন্দী, চিন্তন নিউজ, ২৬ জুন: বাম শাসনকালে বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জী ডিএ নিয়ে কর্মীদের আন্দোলনে বলেছিলেন, যে সরকার ডিএ দিতে পারে না তাদের একমূহূর্তও সরকারে থাকার অধিকার নেই।
২০১১ সালের পরিবর্তনের পর বিগত আট বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ডিএ র ফারাক বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন “বেশী ঘেউ ঘেউ করবেন না।” সরকারী কর্মীরা আশা ছেড়ে দিয়েছেন। চার বছর ধরে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার হিসেব নিকেশ করে চলেছেন এই পে কমিশনের। একই অবস্থা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের।শিক্ষকদের আক্ষেপ, বর্তমানে তাদের বেতন রেলের সাফাই কর্মীদের থেকেও কম। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কোষাগারের অবস্থা সঙ্গীন।
এমতাবস্থায় কিন্তু বিধায়কদের বেতন বাড়তে চলেছে। এই নিয়ে মমতা সরকারের আমলে তৃতীয়বার ভাতা বাড়তে চলেছে। বর্তমানে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে মোট ৮১,০০০টাকা। কিন্তু এনটাইলমেন্ট কমিটি সুপারিশ পাঠিয়েছে অধিবেশন চলাকালীন বিধায়কদের দৈনিক ভাতা ২০০০টাকা করা হোক, যা বর্তমানে ১০০০টাকা। অর্থাৎ রাজ্যের ঘাড়ে প্রতিমাসে গড়ে ৩৮-৪০ লক্ষ টাকা, বছরে ৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা।
২০১৭ সালের ১১ই মার্চ শেষবার বেতনবৃদ্ধি হয়েছিল বিধায়কদের, আবার বৃদ্ধির সুপারিশ হলো। যা কার্যকর হওয়া সময়ের অপেক্ষা। সরকারী কর্মী শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা চাপড়ালেও বিধায়কদের পৌষমাস।