দেশ

আমফানের সতর্কতায় হাই অ্যালার্ট !প্রস্তুত সুন্দরবন এলাকার ত্রাতা


মাধবী ঘোষ: চিন্তন নিউজ:১৯শে মে:– বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ এখন আতঙ্কের অপর নাম আমফান । আইএমডি জানিয়েছেন মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এইজন্য হাই অ্যালার্ট রয়েছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। প্রয়োজনীয় সব রকম সুরক্ষা দিতে তৈরি তারা।

রিপোর্ট অনুযায়ী আবহাওয়া দপ্তর এর শঙ্খা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে একটি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আমফানে ক্ষয়ক্ষতি হ’লে বিপদে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপাতে তৈরি রয়েছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। বিশাখাপত্তনমে তৈরি ভারতীয় নৌ জাহাজ সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া ত্রাণ পৌঁছানো বা ওষুধ পৌঁছে দিতে তৈরি বাহিনী।

আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব ফেলবে আমফান। তাই এই দুটি রাজ্যে উদ্ধারকাজের জন্য নৌ বাহিনী ছাড়াও আরো কুড়িটি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে।

এছাড়াও নৌ-বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে নেভাল এয়ার স্টেশন আই এন এস ডেগা এবং তামিলনাড়ুর আরা কক্ষ নামে আইএনএস রাজালিতে নাভাল এয়ারক্রাফটও তৈরি রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে পূর্বাভাস বলছে ১৮ তারিখের পর এই বাংলায় আছড়ে পড়া সম্ভবনা আমফানের। ১৯ মে থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বাধিক ৮৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে যাওয়া সম্ভবনা।

প্রাথমিক পূর্বাভাস পেয়েও সতর্ক হচ্ছে রাজ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বকখালি , ফ্রেজারগঞ্জ , নামখানা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগর , পাথরপ্রতিমা , কাকদ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। মাইকেও প্রচার করা হবে । তৈরি রাখা হচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনীও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সুন্দরবনের প্রতিটি ব্লকে জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।যদিও বাংলার দূর্যোগের বিপদে সুন্দরবন এলাকায় দুর্যোগের সময়ে বন্ধু। তাই আয়লা, ফণী, বুলবুল- যে যখনই রায়দিঘির উপর তান্ডব করেছে, তখনই বুক দিয়ে তিনি রায়দিঘির মানুষদের আগলেছেন। সেই বিগত বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এবারেও প্রস্তুত আমফান মোকাবিলায়। রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আয়লার থেকেও এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী। উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল প্রতাপ দেখাতে পারে আমফান। বঙ্গোপসাগরের সুপার সাইক্লোনের খবর পেয়েই আগাম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন কান্তিবাবু।
দু হাজার ত্রিপল, একটা নৌকা, ১০০ কুইন্টাল চাল, তিন লক্ষ টাকার ওষুধের বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। এখানে যাঁদের মাটির ঘর আছে, তাদের সবাইকে সন্ধ্যা নামার আগেই স্কুলে নিয়ে যাবেন বলে পরিকল্পনা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।