দেশ

শিল্পপতিদের ঋণ মকুব, বনাম চিকিৎসা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি


দেবু রায়: চিন্তন নিউজ:৩০ শে মার্চ:– আজকে নিয়ে সাত দিন হলো দেশের প্রায় সমস্ত মানুষ বাড়িতে বন্দি , কেউই জানেনা আগামী ১৪ এপ্রিলের পর কি হবে।, ইতি মধ্যে প্ৰতি দিনই মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারছেন দেশে রোজই করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, আমরা কেউই জানি না আগামী পাঁচ/ছয় দিনের মধ্যে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে , যদি দেশের মধ্যে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ভয়াবহ হয় , তাহলে সেটাকে সামাল দিতে পারাটা প্রশ্নের মুখে। এটাই এখন দেশের সরকার থেকে সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। কারন দেশের অর্থনীতির এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা আছে কী??

যদিও ইতিমধ্যে দেশের কিছু শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক যাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেক বেশি তারাও এগিয়ে এসেছে . যেমন টাটা গোষ্ঠী প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা সাহায্য ঘোষনা করেছে , বিসিসিআই একান্ন কোটি , সিআইপিএলএ (Cipla) একটি বড়ো ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি তারা টেস্টিং কীট বানাচ্ছে সেটা তারা বিনা পয়সায় দেবে বলেছে , কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিও পার্সোনাল ডোনেট করছেন বলে খবরে জানা গেছে।এগুলো হলো ইতিবাচক দিক।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এগুলো সব একত্র করলেও দেখা যাবে প্রয়োজনের তুলনায় কম , কারন জানেন কি এই মুহূর্তে সারা ভারতে যা আইসোলেশন বেড প্ৰতি ৩৫০০০ হাজারে মাত্র এক জন , তাহলেই বুঝুন বা চিন্তা করুন সমস্যা টা কোথায় ?. না কোনো রাজনীতির কথা বলছি না কিন্তু বাস্তব কে তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র . আমি দেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমার অন্য সহ নাগরিক দের কাছে কত গুলো বিষয় তুলে ধরছি একটু ভাবুন .
১)বিজেপির সভাপতি তার ছেলের বিয়েতে খরচ করেন পাঁচশো কোটি কি এই সময়ে দেশের জন্য কি ডোনেশন করলেন ?.
২) মুকেশ আম্বানি তার মেয়ের বিয়েতে খরচ করলেন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা , কিন্তু উনি সাধারণ মানুষের থেকে এতো গরীব যে কর্পোরেট ছাড় না পেলে ওনার হয়তো খাবারই জুটবে না, অর্থ সাহায্য তো অনেক দূরের কথা। .
৩) যেদেশে স্বাস্থ খাতে খরচ করার সময় সরকারের কাছে টাকার ঘাটতি থাকে সেই দেশে একটা মূর্তি বানাতে প্রায় নহাজার একশো ত্রিশ কোটি টাকা খরচ করার যৌক্তিকতা কি আছে ?. বলবেন .
৪) শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণ বাবদ বছরে খরচ হয় দুহাজার কোটি টাকা খরচ করা কি যুক্তি সঙ্গত না ঐ টাকার অর্ধেক টা যদি দেশে হাসপাতাল তৈরি বাবদ খরচ করা হতো তাতে দেশের মানুষের লাভ হতো না ক্ষতি হতো বলবেন , বা ভেবে দেখেছেন কখনো?.
৫) সরকার তার কাজের জন্য বছরে বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করে বছরে৬০০০/- কোটি টাকা . প্রশ্ন – a) সরকার যদি সত্যি মানুষের জন্য ভালো কাজ করতো টা হলে তার সুফল তো মানুষ সারা সরি উপোভোগ করতে পারতো . তার জন্য বিজ্ঞাপনের কি দরকার ?. অতীতে দিল্লি তে কংগ্রেস বা রাজ্যে বিভিন্ন সরকার কিছু ভালো কাজ করেছে তার জন্য তারা কখনো কি এতো টাকা খরচ করে ছে . কখনো দেখেছেন কি ?. আমার একটা কথা মনে পরে গেল , শূন্য কলসি আওয়াজ করে বেশি , কি কেন্দ্রে বা কি রাজ্যে দুজনেই একই পথের অবলম্বন করছে , b) আর বিজ্ঞাপনের টাকা টা কারা পাচ্ছে মিডিয়া বা খবরের কাগজের মালিক রা . আমাকে কি একটা মিডিয়া কে দেখাতে পারবেন তারা নিজেদের রোজগারের থেকে দেশের মানুষের জন্য কোনো দিন কিছু অর্থ সাহায্য করে ছেন?. সম্বভত পারবেন না বরঞ্চ তারা রোজগারের পথ তে সুগম করতে বিজ্ঞাপন দাতা দের পক্ষে ওকালতি করে জনমত তৈরি করার প্রচেষ্টা ক্রমাগত করে চলেছে . ওনারা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভর জামা গায়ে দিয়ে নির্দিষ্ট দলের হোয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যাতে ইনকামের রাস্তাটা সুগম থাকে । (ক্রমশঃ )


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।