জেলা

খুশির ঈদ” এ এবার যেন বিষাদ এর সুর।


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:১২ই মে:– জলপাইগুড়িতে ঈদের বাজার মন্দা গতবছর মহামারীর কারণেই বিক্রি-বাট্টা ছিল না এ বছর আশা ছিলো ভালো বিক্রি হবে। সেই মোতাবেক সেমাই,খেজুর, কাজু, কিসমিস বেশি করে জোগাড় করে এনে পসরা সাজিয়ে বসে ছিলেন দোকানিরা। কিন্তু প্রথমে ভোট, ভোট পরবর্তী সময় করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ এর প্রকোপ, লকডাউন না হয়েও আধা লকডাউন! এরই মাঝে খুশির ঈদ আগামী শুক্রবার

সরকারি নির্দেশে সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত দোকান বাজার খোলা বিকেলে আগে ৩টা থেকে ৫টা  ছিল এখন বিকাল ৫টা থেকে ৭টা দোকান খোলা রাখার  সময় করা হ’লেও খদ্দেরের দেখা নেই। জলপাইগুড়ি নবাব বাড়ি মসজিদের সামনে ঈদের পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রফিদর জানালেন যে সময় সকালে ও বিকালে সরকারি নির্দেশে দোকান বাজার খোলা সেই সময় মানুষ আসতে পারছেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বিভিন্ন কাজ সেরে লোকেদের আসতে বেলা হয়ে যায় সেসময় দোকান বন্ধ। আমাদের রোজা চলছে রোজা সেরে সন্ধ্যায় ইফতার করতে করতে সাতটা বেজে যায় সরকারি নির্দেশে তারপর দোকান খোলা রাখা যাচ্ছে না।

আবার আতঙ্ক বহু মানুষ বের হচ্ছেন না। ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনে পড়ার রেওয়াজ থাকলেও শহরের দিনবাজার এলাকার কাপড়ের দোকানগুলোতে খদ্দের খুঁজে পাওয়া গেল না!তাই কবির ভাষায় “রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ” এ এবার যেন বিষাদ এর সুর।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।