জেলা

হুগলি বার্তাঃ–


চিন্তন নিউজঃ- জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ঃ- শ্রীরামপুরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) জেলা দপ্তরে প্রয়াত কমরেড রূপচাঁদ পালের মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়।

সোমনাথ ঘোষঃ- আজ ১৬ আগষ্ট ২০২২, সকাল ১১ টায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে হুগলী জেলার কমিউনিস্ট, গণআন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের প্রবীণ নেতা, লোকসভায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র প্রাক্তন মুখ্য সচেতক, আমাদের সকলের অতি প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় কমরেড রূপচাঁদ পালের (রূপেনদা) জীবনাবসান হয়েছে। অসাধারণ বাগ্মী ও বিনয়ী কমরেড রূপেনদা তাঁর ৮৬ বছরের জীবনের দীর্ঘ সময় ধরে হুগলী জেলার গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক,খেতমজুরদের সংগঠিত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। সুদীর্ঘকাল তিনি ছিলেন হুগলী জেলা কৃষক কাউন্সিলের সদস্য। জেলায় খেতমজুর সংগঠন পৃথকভাবে গড়ে উঠলে তিনি খেতমজুর সংগঠনে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল এলাকা বিশেষত ধনিয়াখালী, পাণ্ডুয়া, বলাগড়, পোলবা, দাদপুর, মগরা থানা এলাকায় কৃষক সংগঠন ও আন্দোলনে তিনি ছিলেন এক পরিচিত মুখ। হুগলী জেলায় সাক্ষরতা ও জনস্বাস্থ্য আন্দোলন এবং পিপলস্ রিলিফ কমিটির (পি আর সি)’র সাথেও সর্বসময় যুক্ত থেকেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসাবেও তিনি অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে দেশ ও রাজ্যের কৃষকসহ শ্রমজীবী জনগণের স্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ২০১১ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস বল্গাহীন সন্ত্রাস নামিয়ে আনে। কমরেড রূপেনদা ধনিয়াখালী থানার ভাণ্ডারহাটীতে অত্যন্ত সাহসিকতা ও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সশস্ত্র হামলা থেকে কর্মীদের জীবন এবং সংগঠনের দপ্তর রক্ষা করেন। এছাড়াও জেলায় সন্ত্রাস মুক্তির আন্দোলনে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে উজ্জ্বল নেতৃত্বের দায়িত্ব যোগ্যতার সাথে পালন করেছেন। কমরেড রূপচাঁদ পালের জীবনাবসানে হুগলী জেলার মানুষ হারালো এজজন মানবহিতৈষীকে আর হুগলী জেলার কৃষক সংগঠন ও আন্দোলন হারালো এক অকৃত্রিম সহযোদ্ধাকে। হুগলী জেলা কৃষক সমিতি কমরেড রূপচাঁদ পালের সংগ্রামী জীবনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছে ও তাঁর আত্মীয় – পরিজন এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধ মানুষজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।