শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

একটু মধু ছোলার সঙ্গে! উপকার জানলে চমকে যাবেন


মাধবী ঘোষ, চিন্তন নিউজ, ১৬ জুন: ছোলা আর মধু দুইই মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী দুটো খাদ্য। এই ছোলা বা মধু খাওয়ার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই আছে। এখন দেখা যাক, এর উপকারিতা কি।

হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ছোলায় উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি সিক্স এবং পটাসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর এক দিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি অন্যদিকে ব্লাড প্রেসারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায় ।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ব্রণ, পিম্পল, ডার্মাটাইটিস সহ একাধিক ত্বকের রোগ সারাতে ছোলার কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ছোলা খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনই ছোলা গুঁড়ো করে বানানো বেসন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে দারুণ উপকার মেলে। বেসন এবং দুধ বা দই মিলিয়ে বানানো পেস্ট স্কাল্পে লাগালে চুল পড়াও অনেক কমে যায়। তাই যাদের খুব চুল উঠছে তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি সাহায্য নিতেই পারেন।

হজম ক্ষমতা উন্নতি ঘটে। অল্প কিছু খেলে কি বদহজম হয়ে যায়? তাহলে তো ছোলাকে রোজের সঙ্গী বানানো উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শুধু হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় না সেইসঙ্গে ডায়রিয়া এবং কনস্টিপেশনের মত রোগের প্রকোপ কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান দের বার করে দিয়ে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

ব্লাড প্রেসার কি নিয়ন্ত্রণে রাখে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। আর এই খনিজটির পরিমাণ যত বাড়ে ততো সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে ধীরে ধীরে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এই কারণেই যারা অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসারে সমস্যায় ভোগেন তাদের নিয়মিত একবাটি করে ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

এনার্জির ঘাটতি দূর করে। ছোলায় উপস্থিত পটাশিয়াম ক্লান্তি দূর করে শরীরকে একেবারে চাঙ্গা করে তোলে সেই সঙ্গে কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যামাইনো এ্যসিড, যা ঔষধের শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে সাধারণত অ্যানিমিয়ার মত রোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই এই প্রাকৃতিক উপাদান শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে কাজে লাগে। আর একবার লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিক ভাবেই অ্যানিমিয়ার প্রভাব কমতে শুরু করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন এক মুঠো করে ছোলা খেলে শরীরের অন্দরে শর্করার শোষণ ঠিক মত হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তের সুগার লেভেল বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয় ছোলার মধ্যে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান শরীরকে ভেতর থেকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে হঠাৎ করে ব্লাড সুগার লেভেল কমে গেলেও শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।