সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৩ই সেপ্টেম্বর:–চিকিৎসার খরচ দেওয়া বন্ধ করল ত্রিপুরা সরকার —–প্রান গেল এক অসহায় দিনমজুরের।
অতি অবাক করা কান্ড ঘটিয়েছে ত্রিপুরা সরকার—–তারা হাসপাতালের বিনামুল্যে পরিষেবা দেওয়ার প্রথা তুলে দিল। আর এরই জেরে প্রান গেল এক দিনমজুরের।। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার জিবি হসপিটালে।। শনিবার চিকিৎসার টাকা দিতে না পারার জেরে মৃত্যু হয় এই দিনমজুরের। এই নিয়ে উত্তাল ত্রিপুরা।।
শুক্রবার ঘোষনা করা হয় এখন থেকে চিকিৎসার পুরো খরচা দিতে হবে রোগীর পরিবারকে।। তবে অন্তোদ্যয় অন্ন যোজনার আওতাভুক্ত পরিবার গুলোকে কিছু ছাড় দেওয়া হবে।। অবিলম্বে এই নির্দেশ পালন করতে হবে বলে ঘোষনা করা হয়।। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবদেবের কেন্দ্র বনমালীপুরের লালবাহাদুর এলাকার বাসিন্দা পরেশ মোদক।। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।। নিজের বাড়ী ঘর বলে কিচ্ছু নেই।। থাকতেন পরিচিত একজনের বাড়ীতে।। বৃহস্পতিবার তিনি মাথাতে চোট পান এবং ভর্তি হন। জিবি হসপিটালে।। উনার অস্ত্রপ্রচার হওয়ার কথা ছিল।। যখন অপারেশন থিয়েটার এর সামনে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার স্ত্রী রুপা দেবীর কাছে দশহাজার টাকা চাওয়া হয়।। কিন্তু রুপা দেবীর কাছে তখন একশো টাকা রয়েছে।। অবস্থা দেখে কিছু সাংবাদিক নিজেদের পকেট থেকে কিছু টাকা দেন আর ডাক্তাররা কিছু টাকা দেন—–তাতে করে দশহাজার টাকা উঠে যায়—–কিন্তু সমস্যা বাধে অপারেশন পরবর্তী খরচ নিয়ে।। তখন ঠিক হয় অপারেশন হবে শনিবার কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় পরেশ বাবুর।। পয়সার অভাবে মৃত্যুর কথা জানতেন না স্বাস্থ্য আধিকারিক ফনিন্দ্র মজুমদার।। সুপার শংকর চক্রবর্তী জানান যে নতুন শুল্ক ব্যাবস্থা চালু হয়নি তবু কারা টাকা চাইল সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।।
হসপিটালে ১০/২০ টাকা দিয়ে কার্ড করে আউটডোরে দেখাতে হবে—-আইসিইউ এর জন্য দিতে হবে ৩০০/৬০০ টাকা—–এমনকি অক্সিজেন এর টাকা দিতে হবে রোগীর পরিবারকে।। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমঃ মানিক সরকার।। তিনি এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে বলেন অবিলম্বে এই অমানবিক ঘোষনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবী জানান।।
ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবদেব বলেন যারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন তারা ষড়যন্ত্রকারী।। কিন্তু তার দল বিজেপিও নাকি এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে, আজ যা ত্রিপুরায় ঘটছে আগামীতে বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের একই হাল হবে না তো!!!!!!