দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ: ২৬/০৫/২০২৪:- গরমের ছুটিতে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেকেরই প্রথম পছন্দ সিকিম। এখানে রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। পেলিং লাচুং ইয়ুমথাং, ইয়াকসম, ছাংগু, গ্যাংটক ও জিরো পয়েন্ট পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। কিন্তু এবারের গরমের ছুটিতে এই সমস্ত পরিচিত জায়গা ছেড়ে একটু অপরিচিত জায়গা থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। এইবার ছুটি কাটানোর জন্য যেতে পারেন সাংলাফু চো বা সাংলাফু লেকে । সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাংলাফু লেক। সিকিমের ইতিহাসে এই প্রথমবার পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে এই লেক চত্বরে। স্থানীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা ধর্মীয় রীতি মেনে, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন সাংলাফু লেকের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এই সাংলাফু লেক অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান হলেও, পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল এই এলাকা। কিন্তু এখন থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই লেক। পর্যটকরা অনায়াসেই সাংলাফু লেকে যেতে পারবেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য এটি অত্যন্ত আনন্দের একটি খবর। লেকটি জিরো পয়েন্ট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সমতল থেকে এর উচ্চতা ১৬৬৭০ ফুট।
সাংলাফু লেকের উদ্বোধন করার আগে লাচুং এর সামতেন চোলিং বৌদ্ধ গুম্ফার সন্ন্যাসীরা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা, হোটেল ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সহ গাড়িচালকেরাও। সাংলাফু লেকের চত্বর স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি জায়গা। তাই এতদিন পর্যন্ত এখানে বাইরের লোকের প্রবেশ একপ্রকার নিষিদ্ধ ছিল। যাতায়াত ব্যবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। ফলতো বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদেরও এই লেক চত্বরে প্রবেশ করতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হতো।সাংলাফু লেকে ঘুরতে যাবার জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে পর্যটকদের। প্লাস্টিক বা টেট্রা প্যাক জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ সাংলাফু লেক চত্বরে। এছাড়া আশপাশের কোন স্থানে থুতু ফেলতেও পারবে না পর্যটকরা। পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখার জন্যই এমন নিয়ম চালু করা হয়েছে। এছাড়া এখানে সর্বোচ্চ চার চাকা গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে যাতায়াতের জন্য। হিমালয়ের পাহাড়ি সৌন্দর্যের মধ্যে দিয়ে শুষ্ক দুর্গম পথ পেরিয়ে এই লেকে পৌঁছানো পর্যটকদের কাছে একদিকে যেমন দুঃসাহসিক, তেমনি রোমাঞ্চকর যাত্রা হতে চলেছে।