রাজ্য

গান্ধীজি- র দ্বিতীয় বাড়ি .. বাংলার সোদপুরের খাদি আশ্রম আজ অবহেলিত।



স্বাতী শীল:চিন্তন নিউজ:৪ঠা অক্ট্টোবর;– সবরমতীর মতই সোদপুরে রয়েছে গান্ধীজির স্মৃতিবিজড়িত খাদি আশ্রম।একসময় গান্ধীজি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের পদচারণায় আলোড়িত হয়েছে যেই স্থান,আজ সেখানে অবহেলার ছাপ স্পষ্ট,দালানে তার আজ কুকুরের বসবাস,দেওয়ালে উই এর প্রলেপ।
এই আশ্রমের শুরু কিন্তু ব্রিটিশ আমলে।আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সহযোগী এবং মহাত্মা গান্ধীর বিশিষ্ট স্নেহভাজন সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত বেঙ্গল কেমিক্যালস এর চাকরি ছেড়ে ১৯২১ সালে তৈরি করেন এই খাদি আশ্রম।
তাঁর লক্ষ্য ছিল,গান্ধীজির আদর্শে চালিত হয়ে হাতে কাটা চরকায় সুতো,খাদি বস্ত্র প্রভৃতি বিভিন্ন বস্তু প্রস্তুত করা।এই আশ্রমের উদ্বোধনে গান্ধীজি,মতিলাল নেহেরু ছাড়াও তৎকালীন জাতীয় স্তরের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।পরবর্তী কালে বিভিন্ন সময়ে গান্ধীজি সহ অনেকেই এখানে যাওয়া আসা করতেন।বাপুর কথায় এটি ছিল তাঁর “দ্বিতীয় গৃহ”।
সেই সাজানো বাগানেই আজ অবহেলার ঝোপঝাড়,ঘরের জরাজীর্ণ,জাতির জনকের ছবি আজ অবহেলায় পড়ে গাছতলায়।অথচ পরাধীন ভারতে সোদপুরের এই গান্ধী আশ্রম ছিল জাতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
১৯৩৯ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরি কংগ্রেসের পরে এই আশ্রমেই গান্ধীজির সঙ্গে বৈঠকে বসেন জওহরলাল নেহেরু এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।এরপরই কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন নেতাজী।
১৯৪৬ সালের ১০ই অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর দিন নোয়াখালীতে শুরু হয় দাঙ্গা।ওই সময় এই সোদপুর থেকেই নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন গান্ধীজি।
নেহেরু,নেতাজী সহ বহু বিশিষ্ট মনীষীদের ছবি রয়েছে এই আশ্রমের ঘরে ঘরে।সেই ছবি ও ইতিহাস বুকে নিয়েই একা একা দাঁড়িয়ে বর্তমানে ব্রাত্য গান্ধীজির সাধের “দ্বিতীয় গৃহ”,সংস্কারের অপেক্ষায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।