চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৫ইঅক্টোবর:–কেন্দ্রের নির্দেশে ফের সুদ কমাতে বাধ্য হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।।
প্রতিদিন বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম।কেন্দ্রীয় সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণে তার কোনো প্রতিশ্রুতিই পালন করতে পারেনি।এই অর্থনৈতিক সঙ্কটে বেড়ে চলেছে মানুষের ক্ষোভ।একেদিকে মুদ্রাস্ফীতি ,অপরদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার মানুষ। ফলে বেড়েছে মানুষে মানুষে অর্থনৈতিক বৈষম্য। কর্পোরেট সংস্থা গুলিকে বিভিন্ন ভাবে ছাড় দিয়েও কাটানো যায়নি দেশের আর্থিক মন্দা।এই পরিস্থিতিতে সস্তায় মূলধন জোগাতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবার কমাতে চলেছে তাদের সুদের হার।এই নিয়ে গত আট মাসে চারবার কমানো হয়েছে ব্যাঙ্কের সুদ।যা এক কথায় নজীরবিহীন।গতবারের মতো এবারও ০.৩৫% হারে কমানো হচ্ছে সুদের হার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে প্রকাশ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির আশায় চার দফায় সুদ কমিয়ে মূলধন সংগ্রহের চেষ্টা হলেও শিল্পে বিনিয়োগ আসেনি।উল্টে গতবছরের তুলনায় বেসরকারি শিল্প সংস্থায় বিনিয়োগ কমেছে ৭০%।উপযুক্ত বাজারের অভাবে বন্ধ হয়েছে উৎপাদন।
বিশেষজ্ঞ দের মতে শিল্পের এই মন্দা থেকে বেড়িয়ে আসতে সুদ কমানো ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। এই অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বেড়োনোর জন্যে সরকার কর ছাড়,সস্তায় মূলধন জোগানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও তা কার্যকরী হয়নি।তাদের প্রস্তাব মতো ৩৫-৪০% কমানো দরকার রেপো রেট।
অর্থমন্ত্রী দাবী করেছিলেন বিভিন্ন সরকারি ব্যাবস্থা গ্রহণের ফলে বাড়বে জিডিপি ও শিল্পে উৎপাদন এর হার কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।জিডিপি র হার বর্তমানে কমে হয়েছে ৫% ।যদিও বিরোধী দের মতে তা আদতে৩% এর বেশী নয়।
প্রকৃতপক্ষে দেশের মূল শিল্পগুলির উৎপাদন ব্যাপক ভাবে হ্রাস পাওয়ার ফলে সরকারি বিনিয়োগ থমকে গেছে।এই শিল্পগুলি হোলো কয়লা,বিদ্যুৎ প্রাকৃতিক গ্যাস ও সিমেন্ট শিল্প।এই শিল্প গুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।যেমন বিদ্যুৎ এর উৎপাদন কমলে কমে কয়লার চাহিদা।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা মতো এবারে বাজেটে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭% ,যা এই আর্থিক বছরে পূরন করা সম্ভব নয়।এই অবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে তাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশের আর্থিক বৃদ্ধি।যা ফের সুদের হার কমালেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যার্থ হবে।বোঝা যাচ্ছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির জন্যে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ কার্যত ব্যার্থ হয়েছে।