সীমা বিশ্বাস,আসাম ২৯অক্টোবর,চিন্তন নিউজ:– এন এইচ পি সি(national hydrel power corporation )দ্বারা গেরুকামুখে নির্মিত ২০০০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন নিম্ন সুবনশিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ভুমিস্খলনের পর পাহাড় খসে সুবনশিরির বৃহৎ নদী বাঁধের ডাইভার্সন টানেল বন্ধ হয়ে মুহূর্তের ভেতরে নদী শুকিয়ে যায়। ফলে নদীর স্রোত কমে যায়। শুক্রবার সকালে প্রতি সেকেন্ডে ১১০০জল বহন করা নদী সন্ধ্যা বেলায় মাত্র ৫থেকে ১০ঘন মিটার জল বহন করেছে।এই নদী শুকিয়ে যাওয়াতে হাজার হাজার মাছ,কাছিমশিশু মৃত্যু মুখে পড়েছে। জৈব বৈচিত্র্যের প্রতি প্রচন্ড ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে নদীর কাছাকাছি থাকা মানুষ ভয়াবহ বিপদের মুখে পরেছে। আজ থেকে একদশক আগে বিশেষজ্ঞেরা নিম্ন সুবনশিরি বৃহৎ নদী বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়ে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করে। এমনকি আসামের বিভিন্ন দল সংগঠন দীর্ঘসময় ধরে প্রতিবাদী আন্দোলন সংগঠিত করে। গুয়াহাটী বিশ্ববিদ্যালয়, ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়,আই আই টি গুয়াটির বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গঠিত বিশেষজ্ঞ সমিতি দেওয়া শক্তিশালী , যুক্তিপূর্ণ , বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শ গুরুত্ব না দিয়ে সরকার একপক্ষীয় ভাবে জণসাধরণের জীবন সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব অস্বীকার করে কোম্পানির লাভালাভের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে এই বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের এবং জণগণের আশঙ্কা আজকের এই ঘটনায় প্রমাণিত হলো।