রাজ্য

বোনাস-বঞ্চনার। প্রতিবাদে দু’দিন ধরে ধর্মঘটে চা-বাগান শ্রমিকরা।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৫ই অক্টোবর:-ধর্মঘট শুরু চা বাগানে উৎসবের মরশুম _উৎসব শুরু ধর্মঘট এ।।যা কখনো কোনদিন হয়নি এবার তেমন হল।।৮০ হাজার মজুর বোনাস পেলেন না।। শুধু তাই নয় ১৫ দিনের মজুরি অবধি পেলেন না।। এর ই প্রতিবাদে শারদ উৎসবের প্রথম দিন থেকেই ধর্মঘট শুরু করলেন চা বাগান এর শ্রমিকরা ।। দার্জিলিংয়ের ৮৭টি চা বাগান শুক্রবার সকাল থেকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।। মজুরদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুরো পাহাড়।। কোন দোকান, হোটেল খুলবে না।। চলবে না কোনো গাড়ি।। চা বাগান মালিকদের এই অন্যায় কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। পাহাড়ের ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে প্রতিটি চা-বাগানে মিছিলে সামিল হবেন মজদুররা।। সবকটা ট্রেড ইউনিয়ন তাদের পক্ষে।। অন্তত ২০শতাংশ হারে বোনাস দিতেই হবে মলিকদের।। সমানে টালবাহানা চালিয়েছে মালিক পক্ষ আর চোখে ঠুলি রাজ্যসরকার এর।।

এই ধর্মঘট ভাঙতে দুদিন আগেই আসরে নামে মালিক পক্ষ। তারা জানান ১২/১৩ শতাংশ হারে বোনাস দেবে। কিন্তু মজুররা তা প্রত্যাখ্যান করে।। তারা জানান ২০ শতাংশ হারে বোনাস না দিলে গাছের একটা পাতা তুলবে না।। ফ্যাক্টরি উৎপাদন বন্ধ হবে।। যেখানে তরাই ডুয়ার্সের শ্রমিক রা১৮:৫০ শতাংশ হারে বোনাস পেতে শুরু করেছে সেখানে পাহাড়ের ৮৭ টা চা বাগান এর শ্রমিক দের বোনাস নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে মালিক পক্ষ।। দার্জিলিংয়ের চা বাগানের এমন ঘটনা ইতিহাসে এই প্রথম।। আগেও কম বোনাস তাদের ভাগ্যে জুটেছে কিন্তু সেই সময় টানা ১০৫ দিনের একটি ধর্মঘট হয়ে ছিল তাই তখন তারা ১৫শতাংশ বোনাস নিয়ে তারা আপত্তি করে নি।। কিন্তু এবার প্রায়৭’৭৫ টন উৎপাদন হয়েছে।।।১৪০ শতাংশ উৎপাদন বাড়িয়ে ও তাদের বোনাস পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছেন মালিক পক্ষ।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।