চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১০ই এপ্রিল:- পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্যসরকার বলে অভিযোগ। বিশ্বে যখন কোভিড১৯ মহামারীর আকার নিয়েছে তখন এই তথ্য গোপন অনুচিত। এরফলে মানুষ রাজ্য তথা দেশের করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক তথ্য পাচ্ছে না। এই তথ্য গোপন অন্যায় বলে মনে করেন রাজ্যের একাধিক আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ। হয়েছে একাধিক জনস্বার্থ মামলা।করোনা নিয়ে জোড়া ফলায় বিদ্ধ হচ্ছে রাজ্যসরকার। একদিকে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ছে রাজ্য সরকার, অপরদিকে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে সরকারকে।
বুধবার চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের করা জনস্বার্থ নিয়ে একটি মামলার শুনানি ছিল। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন যে, এরাজ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ এর গাইডলাইন সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে না। তথ্য গোপন করা হচ্ছে, যা এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত অন্যায়। একই সময় রাজ্যের খাতায় সংক্রামিতের সংখ্যা যখন ৭১, সেসময় কেন্দ্রের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯।
আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ঠিক কতজন এ রোগে আক্রান্ত তার সঠিক তথ্য প্রকাশ প্রয়োজন। এছাড়াও এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হলে তার অন্তেষ্টির বিষয়ে ‘হু’ (WHO) এর নির্দেশিত নিয়মাবলী মানা হচ্ছে না। সঠিকভাবে প্রচার না হবার ফলে বস্তি এলাকায় সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। মৃতদেহ নিয়েও চলেছে রাজনীতি। করোনায় মৃত্যু হয়নি জানালেও মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হচ্ছে না।
আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার যুক্তিহীনতায় ভুগছে। সঠিক তথ্য মানুষের কাছে পৌছলে লজ্জার কোনো কারণ নেই।পরিবারের কাছেও সঠিক তথ্য পৌছচ্ছে না। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা চেপে যাচ্ছে সরকার। বিভ্রান্তির ফলে এনিয়ে তৈরী বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরী করতে বাধ্য হয়েছে সরকার যার সদস্যরা সরকারেরই অংশ। যখন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তখন হোম কোয়ারান্টাইনের সংখ্যা কমছে, সরকারের এই বিভ্রান্তি মূলক বুলেটিনে বিস্মিত চিকিৎসকরাও। প্রকৃতপক্ষে এই তথ্য গোপন করে, সরকারের সুনাম কুড়োনোর চেষ্টা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে।