চৈতালি নন্দী, চিন্তন নিউজ, ১৬ আগষ্ট: দেশে সর্বক্ষেত্রে প্রকট এক চরম অর্থনৈতিক মন্দা। যে সঙ্কটের শুরু ২০১৪ সাল থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সঙ্কটের মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহনে অনাগ্রহ এবং এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিভাজন দেশকে ঠেলে দিয়েছে এক অভূতপূর্ব বিপদের মুখে। দেশে চলছে এক অঘোষিত জরুরী অবস্থা। যার প্রভাব পড়েছে রেল সহ সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই চরম অচলাবস্থা কাটিয়ে দেশকে রক্ষা করতে ব্যর্থ।
সাম্প্রতিক কালে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ছাঁটাই সহ যে সকল জনবিরোধী সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা এ দেশের প্রেক্ষিতে এক নজিরবিহীন ঘটনা। সেই সকল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও মোকাবিলায় এমন সংগঠিত প্রত্যাঘাত হবে যা অতীতের সমস্ত আন্দোলনকে অতিক্রম করে যাবে। ১৯৭৪ সালে রেলশ্রমিকরা যে সংগঠিত আন্দোলন করেছিলেন সেই লড়াইকেও ছাপিয়ে যাবে এই আন্দোলন। এই আন্দোলন শুধুমাত্র রেলশ্রমিকদের নয়, এতে যুক্ত করা হবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে, বিশেষত যারা রেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। বুধবার ১৪ই আগস্ট পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জনে ট্রেড ইউনিয়ন কনভেনশন থেকে এই আন্দোলনের ডাক দিলেন সিআইটিইউ সাধারণ সম্পাদক তপন সেন।
এদিনের কনভেনশনে শ্রমিক সংহতির নজির গড়তে আগামী ২০শে আগস্ট দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ বেসরকারী করনের বিরোধিতায় এক ভুখা হরতালে সামিল হবেন রেল শ্রমিকরা। এর সঙ্গেই ২৬শে আগস্ট রেলের সবকটি উৎপাদন কেন্দ্রে বিক্ষোভ সহ স্মারকলিপি পেশ করে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বাঁচানোর আন্দোলনে ২৮শে নভেম্বর থেকে ১৩ দিনের এক বিশাল লং মার্চের ডাক দেওয়া হয়। দেশের আপামর শ্রমজীবী মানুষ এই আন্দোলনে সামিল হবেন। কারন ভারতীয় রেল বেসরকারীকরনের ফলে সমগ্ৰ দেশ সঙ্কটের মধ্যে পড়বে। এই আন্দোলনকে তীব্রতর করার জন্যে তৈরী হয়েছে কমিটি, কারণ সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রেল পরিষেবা। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন গুলিকেও এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়।