রাজ্য

লকডাউনে রুজিহারিয়ে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৫ই মে:– সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন, আর এবারের ভোটে তৃনমুল কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকেই একভাবে চলছে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ। মানুষ কে অতিষ্ট করে তুলেছে।। কিন্তু সরকারের কোন হুঁশ নেই কিভাবে চলছে লকডাউনে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের দিনগুলো। সরকার শুধু প্রচার করে চলেছে “” দুয়ারে সরকার””। মানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের দরজায় পৌঁছে দেবে সরকার, কিন্তু এটা যে কতটা অসত্য তা আজ প্রমানিত।

আংশিক লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন সারারাজ্যের অসংখ্য মানুষের সাথে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার ভরতপুরের এক ভ্যানচালক যুবক। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে তার সংসার।। ইঞ্জিন ভ্যান চালিয়ে রাম রোজগার করতো তাতেই কোনরকমে সংসার চলতো। কিন্তু লকডাউনের ফলে মানুষের চলাচল বন্ধ ফলে রোজগার বন্ধ।

চল্লিশ বছরের রাম ভৌমিক ইঞ্জিন ভ্যান চালিয়ে হয়তো কিছু রোজগার হতো কিম্বা হতো না।। তাই দিয়েই কোনরকমে কষ্টেসৃষ্টে সংসার চালাতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলো না রাম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে।। শুক্রবার রাতেই অল্প স্বল্প খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই শুয়ে পড়েছিল। মাঝরাতে রাম উঠে পুরো বাড়ীতে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয় আর বিছানাতেও কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মূহুর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে বাড়ীঘর। চিৎকার চেঁচামেচিতে পাড়াপড়শীরা ছুটে আসেন।।

ঘটনাস্থলে শংকরী ও দুই মেয়ের মৃত্যু হয় আর হসপিটালে রাম ও আর এক মেয়ের মৃত্যু হয়।।পড়শী জানিয়েছেন রোজগার না থাকায় পড়শীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে কোনরকমে চলছিল কিন্তু শেষটা আর চললো না। সরকারের অপারদর্শিতায় এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু ঘটলো। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউন প্রয়োজনীয় হলেও সরকারের কর্তব্য গরীব মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করা।। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই অসময়ে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ব্যর্থ।আর এই ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।