গোপা মুখার্জী :চিন্তন নিউজ:২৯শে এপ্রিল:-
সমাজে যারা উচ্চ মহলে অবস্থান করছেন, উচ্চ বিত্ত মানুষ সেই রকম 50জন মানুষের প্রায় 68 হাজার কোটি টাকার ঋণ মুছে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । এই পঞ্চাশ জনের তালিকায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত আছেন হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি, পলাতক লিকার ব্যারণ বিজয় মালিয়া, বাবা রামদেব সহ অনেকেই ।মেহুল, চোকসি,মালিয়া,রামদেব বাবা সহ ৫০ জন ঋণখেলাপির মোট ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ ছাড়
তথ্যের অধিকার আইনের আন্দোলনকারী এক কর্মী সাকেট গোখলে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে অদেয় ঋণের অর্থ কতটা কি মুছে ফেলা হয়েছে সেই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন ।এরই প্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কতটা কি অদেয় ঋণ মুছে ফেলা হয়েছে তারই হিসেব দিয়েছে ।সাকেট আরও জানতে চেয়েছিলেন এই উপরতলার পঞ্চাশ জন সক্ষম ঋণখেলাপিকে ঠিক কত টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে ।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে এর পরিমান ৬৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা ।
সাকেট গোখেল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদের বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ঠিক এই ধরনের প্রশ্ন করেছিলেন কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামাইয়া সুনিপুণ ভাবে সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান ।তখন জানতে চাওয়া হয়েছিল একেবারে শীর্ষে থাকা সক্ষম ৫০ জন ঋণখেলাপির কাছ থেকে ব্যাঙ্ক গুলির পাওনা কত ? কিন্তু কোনো সদুত্তর মেলেনি ।তাদের সম্পর্কে সক্ষম কথাটি উল্লেখ করা হয়েছিল কারণ ঋণ শোধ করার মতো আর্থিক সঙ্গতি তাদের আছে অথচ ইচ্ছে করেই ঋণ শোধ করা হচ্ছে না ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া এই তালিকায় মেহুল চোকসি গীতাঞ্জলি জেমস সহ আরও পাঁচ জন হীরে ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে ।আরও রয়েছে বাবা রামদেব এন্ড বালকৃষ্ণ গ্রুপের রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্রিজ । ৯০০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে পলাতক। লিকার ব্যারণ বিজয় মালিয়া ও রয়েছেন এই সুবিধাভোগী দের তালিকায় ।তার লাটে ওঠা বিমান পরিবহন সংস্থা কিংফিশারের ১৯৪৩ কোটি টাকার ঋণের অর্থ মুছে ফেলা হয়েছে ।অন্যদিকে রামদেব বাবার সংস্কার ক্ষেত্রে এই অঙ্কের পরিমাণ ২২১২ কোটি টাকা ।আর মেহুলের ক্ষেত্রে এর পরিমান হল ৫৪৯২ কোটি টাকা ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদী প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এই ভাবে প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মুছে ফেলা হয়েছে ।এই সুবিধা ভোগ করছেন এমন কিছু ব্যবসায়ী যাদের জীবন যাত্রায় দারিদ্রের কোনো ছাপ নেই ।ঋণ পরিশোধ করার মতো যথেষ্ট সম্পদ যাদের আছে ।অথচ ব্যাঙ্কের টাকা মেরে দিয়ে এরা অনেকেই বিদেশে পালিয়ে বিলাস বহুল জীবন কাটাচ্ছেন ।