নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ১৬ সেপ্টেম্বর: ড্রেস কোড নিয়ে বিতর্কের মুখে হায়দরাবাদের সেন্ট ফ্রান্সিস গার্লস কলেজ। ছাত্রীদের ড্রেস কোড নিয়ে সম্প্রতি জারি করা হয়েছে নতুন নিয়ম৷ নিয়ম অনুযায়ী, সালওয়ার কামিজ বা কুর্তি হাঁটুর নীচ পর্যন্ত থাকতে হবে৷ শুধু তাই নয় জামা কতটা লম্বা রয়েছে তা দেখার জন্য গেটে একজন মহিলা সিকিউরিটি রাখা হয়েছে৷ তিনি আইডি কার্ড চেক করার পাশাপাশি তাদের জামার লেন্থও মেপে থাকেন ৷
কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে পয়লা অগাস্ট থেকে এই নতুন নিয়ম লাগু করা হয়েছে৷ যারা নিয়ম লঙ্ঘন করছে তাদের ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। ছাত্রীদের তরফে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একজন মহিলা সিকিউরিটি ছাত্রীদের জামা কতটা লম্বা তা মাপছেন৷ জামার মাপ ছোট হলে ছাত্রীদের ক্লাসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
জানোবিয়া থাম্বি নামে সেন্ট ফ্রান্সিস কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্রীও এই ফতোয়ার তীব্র বিরোধিতা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বছরের মাঝপথে নতুন পোশাকবিধি চালু করে পড়ুয়াদের সমস্যায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ক্লাসের প্রতিনিধিদের বোঝানো হয়েছে লম্বা কুর্তি পরলে ভাল বিয়ের প্রস্তাব আসবে। পাশাপাশি কোনও কিছুর পক্ষে দাঁড়ানো বা তার হয়ে সওয়াল করা ধর্মবিরোধী কাজ। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কেউ হাঁটুর এক ইঞ্চি উপরে স্কার্ট পরে এলেও তাকে ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং কলেজের বাইরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রীতিমতো ফিতে দিয়ে কুর্তির মাপ দেখছেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ধরনের মানসিক অত্যাচারের ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে পারছে না। বসতে পারছে না পরীক্ষাতেও। তেলেঙ্গানার বিশিষ্টজনরা এই ফতোয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রশ্ন, এ কোন সময়ে দাঁড়িয়ে আছি আমরা? ‘বেটি বাঁচাও,বেটি পড়াও’ গাল ভরা বুলির আড়ালে কিভাবে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের অপদস্থ করা হচ্ছে। কেন এই মধ্যযুগীয় ফরমান জারি??দেশজুড়ে এই ফরমানের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা আশু প্রয়োজন বলে মনে করছেন হায়দ্রাবাদের বিশিষ্টজনরা।