দেশ

ফ্যাসিবাদের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠছে ভারতের রাজনৈতিক পটভূমিতে


রঘুনাথ ভট্টাচার্য, চিন্তন নিউজ, ২৫ জুলাই: দু’দিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছিলেন বরিষ্ঠ শিল্পীদের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘গরুর’ নামে বা ‘ধর্মের’ নামে বা ‘জাতের’ নামে পিটিয়ে খুন করা হচ্ছে মুসলিম, আদিবাসী, দলিতদের। সারা দেশজুড়ে – এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁদের প্রশ্ন “সংসদে দাঁড়িয়ে পিটিয়ে খুনের নিন্দা করলেই (সরকারের) তা যথেষ্ট হয়ে যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?”

এই লিপিতে সই করেছেন বিখ্যাত সমাজসেবী, পরিবেশবিদ, লেখক, অভিনেতা, ভাস্কর, চিকিৎসক, চিত্রশিল্পী প্রমুখরা সব নিয়ে ৪৯ জন। লেখা হয়েছে, ধর্মের নামে এই অত্যাচার গত নয় বছরে ধরে ক্রমবর্ধমান। ৯০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে ২০১৪ সালের মে মাসের পরে। ৬২ শতাংশ ঘটনায় নির্যাতিত মুসলিম নাগরিক। তাঁরা আরও বলেন, “সংখ্যালঘু নাগরিকদের অনেকেই ‘রাম ‘ -এর নামে পবিত্রতা মানেন। এখন মধ্যযুগ নয়। রামের নাম কলুসিত করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষতম স্থানে বসে আপনার অবশ্যই যা রোখা উচিত। আমরা ভীষণভাবেই মনে করি এ ধরনের অপরাধ জামিন অযোগ্য হওয়া উচিত।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি সংবাদ সংস্থার কাছে বলেছেন, ‘এদেশে দলিত ও সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই আছেন।’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।”

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা উক্ত খোলা চিঠিতে অন্যতম যোগদানকারী জনপ্রিয় চিত্রাভিনেতা কৌশিক সেন সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে (এনডিটিভি) জানান যে, টেলিফোনে তাঁকে তাঁর ও তাঁর পরিবারের প্রাণহানির হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি এব্যাপারে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বর দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিঃসন্দেহে এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক এই ঘটনার নিন্দা করে ও এর প্রতিবাদ করে। অবিলম্বে এই ‘মেঘনাদ’ দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা রাজ্য প্রশাসনের একান্ত কর্তব্য।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।