জেলা

কৃষক সভার পদযাত্রা ও সমাবেশ


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ:- ৮ জানুয়ারি ঃ- আম্বানি আদানিদের কাছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র তুলে দিতে মরিয়া বি জেপি সরকার। দেশ বিক্রির এই চরম উদাহরণ ধরে ফেলেছে দেশের তামাম কৃষক সমাজ আর সে কারনেই সর্বনাশা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চলল কঠিন ঠান্ডা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই দিল্লি ঘিরে কৃষক আন্দোলন। সারা ভারত কৃষক সভার পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক অমল হালদার‌ এদিন ধূপগুড়ি শহরে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশের বক্তব্যে বলেন এই কথাগুলি।

সকাল দশটায় কলেজ পাড়ার গনেশ মোড়ে দূরদূরান্ত গ্রাম থেকে কয়েক শত কৃষক জমায়েত হয়ে পদযাত্রা শুরু করেন।দীর্ঘ তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে পদযাত্রা শহরে প্রবেশ করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কলেজ রোডের ফালাকাটা বাস স্টপে এসে শেষ হয় এখানে সভা হয়। অমল হালদার তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনটি কৃষি আইন ব্যাখ্যা করে বলেন এই আইন কার্যকর হলে কোটি কোটি কৃষকের সাথে আরে কয়েক কোটি খেত মজুর মারা পরবেন সেই সাথে ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী তাদেরও সর্বনাশ হবে। তিনি বলেন কৃষক খেত মজুর দের রক্ষা করতে বিকল্প পথ দেখাতে পারে একমাত্র বামপন্থীরাই। যার উদাহরণ কেরালা। কেরালা সরকার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করেই সরাসরি কৃষকদের থেকে আলু কিনছেন অনান্য ফসল কিনছেন। আর এ রাজ্যের সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

তিনি আর‌ও বলেন এই তৃনমুল দলনেত্রী বি জেপির মত ভয়ানক শক্তিকে এ রাজ্যের মাটিতে দাঁড়াবার জমি দিয়েছিল তাই বি জেপি কে ঠেকাতে তৃনমুল কখনো বিশ্বাস যোগ্য দল না। মানুষকে বোকা বানাতে বিরোধিতার নাটক করছে। এই সমাবেশ পরিচালনা করেন প্রবীন কৃষক নেতা জ্যোতি গোস্বামী। অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রানগোপাল ভাওয়াল জেলা সম্পাদক আশীষ সরকার।

অমল হালদার বলেন দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে সংহতি জানিয়ে এ রাজ্যের সর্বত্র পদযাত্রা জাঠা সমাবেশ করা হচ্ছে।এদিন সমাবেশ মঞ্চে সি আই টি ইউয়ের পক্ষ থেকে অমল হালদারের হাতে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় দিল্লির আন্দোলনরত কৃষকদের জন্য। কৃষক সভার এই মিছিলের দাবি ছিল কৃষি ও বিদ্যুৎ আইন বাতিল এবং স্থায়ী দাবি ছিল সম্প্রতি এক বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে ধূপগুড়ি শহরে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরন দেওয়া এবং ধূপগুড়িকে মহুকুমা করার দাবি। মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন জেলার গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা সলিল আচার্য দুই প্রাক্তন বিধায়ক লক্ষ্মীকান্ত রায় ও মমতা রায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।