কলমের খোঁচা

বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আলোর পথ হোক আগামীর অন্বেষণ


দিলীপ গাঙ্গুলি: চিন্তন নিউজ:১৯শে এপ্রিল:- ধরুন ভারত পাকিস্তান সিমান্তে, ভারতীয় মিলিটারীর হাতে অস্ত্র হিসেবে তুলে দেওয়া হলো ছুরি, বর্শা, কাটারি ও তরবারি। হাসি পাচ্ছে তো? পাওয়ারই কথা। আজ্ঞে হ্যাঁ, এটাই হচ্ছে আমাদের দেশে। মহামারী করোনার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে বা যারা এই যুদ্ধের লড়াকু সৈনিক সেই ডাক্তার নার্সসহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা অনেকটা সেরকমই। ঢাল নেই তরয়াল নেই নিধিরাম সর্দার ।

উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো নেই, মাক্সের যথেষ্ট যোগান নেই, নেই পরনে মেডিক্যাল স্যুট, তার বদলে দেওয়া হচ্ছে বর্ষাতী।অথচ নেতা মন্ত্রীদের পরনে দেখা যাচ্ছে এন১৯ মাক্স থেকে মেডিক্যাল স্যুট পর্যন্ত সবই আছে। যাকে বলে আপাদমস্তক ঢাকা। ফল যা হবার তাই হচ্ছে। স্বাথ্যকর্মীরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একটানা সাতদিন ধরে ডিউটি করা নার্সদের যে খাবার দিচ্ছে সরকার তা দেখলে আৎকে উঠতে হয়।

অথচ এরাই নিজেদের আত্মীয় পরিজন এমনকি কেউ কেউ নিজের শিশুসন্তানকে দিনের পর দিন বাড়িতে রেখে নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থাকছে।এ যাত্রায় যদি বেঁচে যান তাহলে জানাবেন ওরা মরনপন লড়াই দিয়েছিল বলেই এই যুদ্ধে জয় এসেছে। ভবিষ্যতে ওদের গায়ে হাত দেবার আগে হাজারবার ভাববেন। ও হ্যাঁ আরেকটা কথা, মন্দির মসজিদে মাথাঠুকে লাভ নেই, এটা আজ প্রমানিত। গোমুত্র খাওয়া মুখেও এন১৯ লাগিয়ে ঘুরছে।

বাঁচালে বিজ্ঞানই আপনাকে বাঁচাবে এছাড়া অন্য কোন পথ নেই। তাই আগামীতে আপনার ট্যাক্সের টাকায় মুর্তি বা মন্দির নয় দাবী উঠুক উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে বিজ্ঞান চর্চার। কারন একমাত্র বিজ্ঞানই পারে কুসংস্কারছন্ন অন্ধকারময় ভারতবর্ষকে আলোয় ফেরাতে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।