জেলা রাজ্য

বন্ধ হলো হুগলি জেলার সবচাইতে বড় মাছের আড়ত।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৯শে এপ্রিল:- বন্ধ হয়ে গেল হুগলি জেলার চকবাজারের মাছের আড়ত। এই অঞ্চলে ট্রাকে করে মাছ আমদানি করা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে।। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর “হটস্পট” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে।। ট্রাকের চালক খালাসিদের থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মাছ ক্রেতারা ভয় পাচ্ছেন।। ক্রেতাদের সুরক্ষার কথা ভেবে আড়তদাররা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত।। তাঁরা ঠিক করেছেন স্থানীয় জেলেদের থেকে মাছ কিনে সেই মাছ বিক্রি করে মানুষের চাহিদা পূরণ করা হবে।।

খবরে প্রকাশ হুগলি জেলার দুটি বড় মাছের আড়ত এর মধ্যে একটি চকবাজারে।। ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট অভিযোগ করোনা সংক্রমণের জেরে যে লকডাউন চলছে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলে সকালে মাছ কেনার জন্য।। প্রশাসনিক অনীহা রয়েছে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।। তাই মাছের আড়তদাররা আগামী সোমবার থেকে আড়ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।। চকবাজার মাছের আড়তদার সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ বিশ্বাস জানান হুগলি জেলার একমাত্র এই চকবাজার আড়ত থেকেই নিলামে মাছ বিক্রি করা হয়।। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক ভর্তি করে এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও এই বাজারে মাছের নিলামে অংশ গ্রহণ করে।। অন্য রাজ্য থেকে যারা মাছের নিলামে আসেন তাঁরা স্ব ইচ্ছেতেই আসেন। আড়তে এই কারণে সবসময়ই ভীড় থাকে।।

এই অঞ্চলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ট্রাক আসে।। বিশ্বনাথ বাবুর অভিযোগ আড়তে প্রচন্ড ভীড় হচ্ছে আর তার জন্য কোন নিয়ম কানুন মানছে না এবং শারীরিক দূরত্বও বজায় থাকছে না।। পুলিশ ও প্রশাসনকে বারবার বলে কোন সুরাহা হয়নি।। তাই আগামী ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত মাছের আড়ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধু মাত্র মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে।।পুড়শুড়া ও আরামবাগের মাছের আড়তদাররাও জানিয়েছেন ময়না থেকে গাড়ী ঢোকাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।।কারন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হটস্পট।।কি জানি কি হয় এই কথা ভেবে ক্রেতারাও চাইছেন স্থানীয় জেলেরাই মাছ নিয়ে আসুন।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।