জেলা

এনকাউন্টার,পিপিই কিট কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবিতে সাতটা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের রাজ্যপালের নিকট স্মারকলিপি প্রদান


সীমা বিশ্বাস, আসাম: চিন্তন নিউজ:১৬ই জুন:– আসামের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকে রাজ্যে এনকাউন্টারের নামে অভিযুক্তকে নির্বিচারে হত্যা করার ঘটনা এবং সদ্য প্রকাশিত পিপি ই কিট কেলেঙ্কারির ন্যায়িক তদন্তের দাবিতে বুধবার ৭টা বিরোধী দলের একটা প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরার জন্যে যুগ্ম-মহাসচিব গীতার্থ বরুয়ার হাতে প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি প্রদান করে। কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই, সিপিআই (এম এল),অসম জাতীয় পরিষদ,রাইজর দল, আঞ্চলিক গণমর্চা দ্বারা যৌথভাবে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি তে উল্লেখ করা হয় যে ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্ৰহণ করার পর থেকে রাজ্যে’ এনকাউন্টারে’ হত্যার সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।এটা সন্দেহাতীত যে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং মানবাধিকার হরণকারী হত্যাকাণ্ড গুলো সংঘটিত হয়েছে।এই এনকাউন্টারে মুসলমান লোককে বিশেষ লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে কভিডের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পত্নী এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী পিপিই কিট যোগানে সংঘটিত করা কেলেঙ্কারির বিষয়ে স্মারক পত্রে উল্লেখ করে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানায়। স্মারকপত্রের মাধ্যমে দাবি করা হয় যে ‘এনকাউন্টার’ হত্যার ঘটনা একজন উচ্চন্যায়ালয়ের কর্মরত ন্যায়াধীশের দ্বারা তদন্ত করতে হবে এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে হবে। অন্যদিকে গুয়াহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়ের তত্বাবধানে সিবি আই র দ্বারা পিপিই কিট কেলেঙ্কারির দ্রুত তদন্ত করার দাবি জানানো হয়। প্রতিনিধি দলে জাতীয় কংগ্রেসের মীরা বরঠাকুর এবং মনজিৎ মহন্ত, সিপিআইএম এর সুপ্রকাশ তালুকদার এবং ইসফাকুর রহমান,সিপিআই – এর মুনিন মহন্ত এবং চক্রেশ্বর কলিতা, সিপিআই (এম এল)এর নরেন বরা এবং পংকজ কুমার দাস, অসম জাতীয় পরিষদের রাজু ফুকন এবং প্রিন্স ফাইজুল হক, রাইজর দলের ঘনশ্যাম নাথ এবং আঞ্চলিক গণমর্চার প্রণব জ্যোতি চেতিয়া অংশগ্রহণ করে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।