রাজ্য

অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলা উচিৎ— রণোদীপ গুলেরিয়া


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৫শে জুন:– দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দাপটে অভিভাবকদের মধ্যে লাখ টাকার প্রশ্ন শিক্ষা , কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যসরকার গুলো শিক্ষাকে অবহেলা করে চলেছেন কিন্তু বর্তমান সময়ে এইমস এর অধিকর্তা রনদীপ গুলেরিয়া পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে এখন সময় এসে গেছে স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পড়াশোনা চালু করা হোক। বহুদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। তাই তাঁর পরামর্শ অবিলম্বে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল ভারতে। তখন সুরক্ষার খাতিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে অবশ্যম্ভাবি ভাবে জমায়েত হবে তা করোনা ভাইরাস তার সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম হবে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার পুরো দেশে লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত কিছুর সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হয়ে যায়।মাঝে সংক্রমণের দাপট কিছুটা কমলে আংশিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলা হয়। তারপর আবার করোনা ভাইরাস দাপট দেখাতে শুরু করলে প্রতিষ্ঠানগুলো আবার বন্ধ হয়ে যায়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে আজ প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে আছে। কোন কোন জায়গায় অনলাইন এ পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনলাইন পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। অনেক গরীব পরিবার গুলোর এমন আর্থিক ক্ষমতা নেই যে অনলাইনে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাবেন। ফলে চরম ক্ষতি হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।

এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রনদীপ গুলেরিয়া পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে বাচ্চা থেকে বড়দের চিন্তার বিকাশ ঘটে। এইমস এর অধিকর্তা রনদীপ গুলেরিয়া মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকার কারণে পরবর্তী প্রজন্মের সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে তাই অবিলম্বে সুরক্ষার ব্যবস্থা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলা হোক।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।