রাজ্য

প্রকৃতি পরিবর্তনের কুফলে নাভিশ্বাস উঠেছে চা বলয়ে। অতি বৃষ্টিতে ব্যাহত কাঁচা চা পাতার উৎপাদন।


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:১৬ জুলাই, ২০২৩ :- সমগ্র ডুয়ার্স তরাই এলাকা জুড়ে রয়েছে ছোট বড় বিস্তীর্ণ চা বাগান। চা গাছ তার থেকে পাতা আর সেই পাতা থেকেই সুগন্ধি চা, চা প্রেমীদের এই আসরে এই মুহূর্তে খলনায়কের রূপ নিয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে বিগত কয়েক বছর থেকেই বদলে গিয়েছে হিমালয়ের পাদদেশের পরিবেশ।
যার সরাসরি প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে পাহাড় থেকে সমতলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে থাকা চা বাগানগুলোর ওপর। কখনো ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, আবার কখনো পুরো বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি মাত্র তিন মাসেই ঝড়ে পরা।
এবারেও জলপাইগুড়ি জেলার ডেঙ্গুয়াঝার চা বাগান সহ ডুয়ার্সের চা বলয়ে বদলে যাওয়া প্রকৃতির এই কুফল ইতিমধ্যেই সামনে আসতে শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার তথা ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অফ ইন্ডিয়ান টি প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব জীবন চন্দ্র পান্ডে বলেন, “চা উদ্যোগ পুরোপুরি প্রকৃতি নির্ভর একটি শিল্প, তবে প্রকৃতির পরিবর্তন বর্তমানে আমাদের অনেকটাই সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে প্রতি বছর।”

অধিক বৃষ্টিতে কমে গিয়েছে চা পাতার উৎপাদন, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ জুড়ে সক্রিয় রয়েছে বর্ষা,। শহর সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের শ্রমিক মিন্টু ওরাও আক্ষেপ করে বলেন, “আগে এই সময় রোজ একশো কেজি পাতা তুলতাম, কিন্তু অধিক বৃষ্টিতে গাছে পাতা কম আমাদের ই লোকসান হচ্ছে, একদিকে যেমন ডব্লি( ডবল) হাজিরা মিলছে না তার সঙ্গে বাড়তি চা পাতা তুললে বাগান কর্তৃপক্ষ যে পুরস্কার দেয় সেটাও পাচ্ছি না। সারা বছর আমরা এই সময়ের দিকেই তাকিয়ে থাকি যাতে দুটো পয়সা বেশি রোজগার করা যায় কিন্তু এভাবে গাছের পাতা কমে গেলে পাতা তুলবো কোত্থেকে??”

বাগানের মহিলা চা শ্রমিক মলিনা এক্কা জানান, “পাতা যখন বেশি তুলি তখন বড় সাহেব আমাদের শাড়ি দেয় প্রাইজ দেয় এখন পাতা হচ্ছে না তাই এবার কিছুই পাই নি তাই মন খারাপ।।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।