সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৮ জুন: একটি শিশু পৃথিবীর আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে তার যে শারীরিক চাহিদা প্রবল হয়ে উঠে তা হল ক্ষুধা। আর তার জন্য যে প্রথম খাদ্য বরাদ্দ থাকে তা হল দুধ। মাতৃদুগ্ধের আগেই যা বরাদ্দ রয়েছে তা হল শক্তিদায়ী টনিক কলোস্ট্রাম, যা তার নতুন শরীর এর জন্য অজস্র ভিটামিন শক্তির উৎস। সেই শুরু, মানব জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি বিভিন্ন খাবারের সাথে রয়ে গেল দুধ। দুধ কে বলা হয় সুষম আহার। প্রবীন চিকিৎসক ডাঃ সুব্রত সেন তার “খাদ্য – পুষ্টি ও পথ্য” বইটিতে দুধ বিষয়ে বলেছেন, দুধে পাওয়া যায় তিন রকম প্রোটিন কেসিনোজেন, ল্যাক্টোগ্লোবিউলিন এবং ল্যাক্টোব্লুমিন। তাছাড়া দুধে থাকে ফ্যাট লেথিসিন।
মায়ের দুধ না পেলে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। নানারকম রোগের সাথে সাথে তার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ওজন খুব কম বা বেশি হয়। দুটোই সমান বিপজ্জনক।
সব বয়সের মানুষের জন্য দুধ খুব প্রয়োজনীয় খাদ্য। আমাদের দেশে মূলত গরুর দুধের প্রচলন বেশী। দুধ থেকে তৈরী নানারকম মিস্টি, দই, ছানা খুব জনপ্রিয়।
এত যার চাহিদা, সেই দুধের নানা দিক নিয়ে বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর ফুড ও টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ প্রশান্ত বিশ্বাস। ক্যালসিয়াম এর সেরা উৎস দুধ। এটি সহজ পাচ্য ও শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম এর ভারসাম্য ঠিক রাখে। দুধে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম। যাদের প্রেশার এর সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ পান করলে উপকার পাবেন।
পুরোনদিনের মানুষরা বলতেন ঘুমাতে যাবার আগে দুধ খান। এটা কিন্তু নিছক কথার কথা নয়। এতে থাকে থায়ামিন, যা ঘুমের সহায়ক। দুধে থাকে ফসফরাস, যা হাড় শক্তিশালী করে। তা ছাড়া দুধে থাকে ভিটামিন ডি, থাকে ভিটামিন বি ১২, যা রক্তে লোহিত কনিকা তৈরীতে সাহায্য করে। তাছাড়া দুধে থাকে ভিটামিন কে।
দুধে যে রাইবোফ্লাবিন ও নায়াসিন পাওয়া যায় তা মেটাবোলিজম এর ক্ষেত্রে খুব ভাল ভুমিকা নেয়। তাই বিনা দ্বিধা তে দুধ খান ও খাওয়ান। ———সুস্থ থাকুন ———–সুস্থ রাখুন।