রাজ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

বাংলার সাহিত্য চর্চা চুঁচুড়ায়


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১ জুলাই: সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকার গ্রীষ্ম – বর্ষা সংখ্যার প্রকাশ হল চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে। রবিবার বিকেলে বিশিষ্ট সাহিত্যিক সাধন চট্টোপাধ্যায় এই পত্রিকার উদ্বোধন করেন। সভার শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপিকা ইন্দ্রানী গোস্বামী। এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন নরেন দে সহ যুগ্ম সম্পাদক বিজয় মুখার্জী ও গোপাল চাকী মহাশয়।

সভার শুরুতে পত্রিকার সম্পাদক অরিত্র ঘোষ বলেন, “মানুষের জন্য আমাদের এই পত্রিকা। এই পত্রিকার পথ চলা শুরু ২০১০ সাল থেকে।সকলের সাহায্য নিয়েই পথ চলা। প্রতি বছর ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীকে সাহায্য করা হয়।”

সাহিত্যিক সাধন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যে সাহিত্য বাঙালীর জীবনকে যেভাবে একসময় প্রভাব বিস্তার করত আজও তা করে। প্রগতিশীল সাহিত্য পত্রিকার সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে কিন্তু এখন তার সংজ্ঞা বদলে গেছে। যার জন্য দায়ী নগরায়ন ও সমাজের বিভিন্ন ঘটনা। আগে সাহিত্য চর্চার জন্য কাজ করা হত। এখন তা আর হয় না। এখন মিডিয়া আর শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন প্রগতি সাহিত্যকে বিকল্প বলে চালানো হচ্ছে। এখন সমাজ বাংলা সাহিত্য থেকে বেরিয়ে এসে ইংরাজী সাহিত্য চর্চা করছে। এই কারণে ঠাকুমার ঝুলি আর কেউ পড়ছে না। বাংলা সাহিত্য চর্চা বাড়াতে হবে।”

এই অনুষ্ঠান এ এসেছিলেন কমঃ তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন যে, এক অন্ধকার শক্তি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজনীতির রাজপথে। এই সমাজ বলছে ধর্ম নিয়ে একটা সমাজ তৈরী হোক। তিনি আদিম যুগের কথা বলতে গিয়ে বলেন মানুষই বৃষ্টি – আগুন – বায়ুর দেবতা তৈরী করেছিল। সেটা তখনকার পরিস্থিতি। সমাজ জীবনে মানুষ এটা বুঝেছে যে, ধর্ম সমাজকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। সমাজ নিয়ন্ত্রন করবে মানুষ আর তার প্রগতিশীল চিন্তাধারা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।