জেলা রাজ্য

রাজ্য জুড়ে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের


দীপশুভ্র সান্যাল, চিন্তন নিউজ, ২৫ মে: গোটা রাজ্যের সাথে জলপাইগুড়ি জেলার প্রতিটি বিডিও অফিসে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ডেপুটেশন দিল সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন। সর্বজনীন টিকাকরণ, প্রতিটি গ্রামীণ হাসপাতালে কভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তোলা, সেফ হোম, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সহ বিনামূল্যে বিভিন্ন পরিষেবার ব্যবস্থা করা করা, রেড ভলেন্টিয়ার সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যারা করোনা মোকাবিলায় ফ্রন্টলাইনার হিসাবে প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন তাদের টিকাকরণ এর ব্যবস্থা করা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা, আয়কর না দেওয়া প্রতিটি পরিবারকে মাসিক সাড়ে সাত হাজার টাকা ভাতার বন্দোবস্ত করা, মাথাপিছু ১০ কেজি খাদ্য শস্য রোপনের মাধ্যমে সরবরাহ করা, করোনার কারণে কাজ হারানো প্রতি ব্যক্তিকে মাসিক ৬০০০ টাকা ভাতা প্রদান করা, রেগা প্রকল্পে দলবাজি বন্ধ করে সকলকে কাজ দেওয়া, ১০০ দিনের কাজকে দ্রুত ২০০ দিনে রূপান্তর করা সহ ৬ দফা দাবিতে নিয়ে এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসের এই স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব কৌশিক ভট্টাচার্য্য, ইন্দ্রনীল বসু, শৈবাল দাশগুপ্ত, দীপশুভ্র সান্যাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা নেতৃত্ব কৌশিক ভট্টাচার্য্য বলেন, “বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে গোটা রাজ্যে সমস্ত বিডিও অফিসে এই স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে আমরা চাই এই দাবিদাওয়াগুলো দ্রুত পূরণ হোক। ১০০ দিনের কাজের দলবাজি বন্ধ হোক, এর পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করার গুরুদায়িত্ব সরকারের কাধে আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু মুল কাজটা সরকারকেই করতে হবে। আমরা চাই জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকাগুলি‌ যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর দরুন জল ঢুকে যায় সেখানে ফ্লাড রিলিফ সেন্টার এবং স্কুলগুলিতে বানভাসি মানুষকে উঠিয়ে আনার সমস্ত ব্যবস্থা প্রশাসনের তরফ থেকে করা হোক।” এই দাবিগুলি পূর্ণ না হলে আগামীতে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।