দেশ বিদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

মারাত্মক সব ভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্ব


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৬ জানুয়ারি: বিশ্ববাসী আজ এক বছর ধরে কোভিড-১৯ এর কবলে। পুরো বিশ্বে প্রচুর প্রানহানী ঘটেছে ও ঘটে চলছে। এরই মধ্যে বিশ্ববাসী করোনা ভাইরাসের এক নতুন প্রজাতির সন্মুখীন। নতুন করোনা ভাইরাস-“নে” করোনা ভাইরাস ও ইবোলা ভাইরাসের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী ও সংক্রামক, এমনই বক্তব্য ইবোলা ভাইরাসের আবিষ্কারক জিম জ্যাকুসের।

জিম ১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস আবিষ্কারের ক্ষেত্রে খুব বড়ো ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁর সতর্কবার্তা এই নুতন ভাইরাস “Disease-x” এমন এক ভাইরাস যার দ্বারা পুরো বিশ্ব ছারখার হয়ে যেতে পারে। জিম জ্যাকুস এক আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে পুরো পৃথিবী জুড়ে অনেক অজানা ভাইরাস আছে যা খুব সহজেই অন্য প্রানী থেকে মানবশরীরে সংক্রামিত হতে পারে এবং তা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কোভিড-১৯ এর মারাত্মক সময় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বিশ্ব নানারকম মারাত্মক সব ভাইরাসের সন্মুখীন এবং এর জেরে মানুষের বেঁচে থাকাটাই এখন সংকটে পড়েছে। কিছুদিন আগে এক ব্যাক্তি জ্বর, গা ব্যথা ইত্যাদি দ্বারা ভুগছিলেন। নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা জানতে পারেন ওই ব্যাক্তি ডিজিস- এক্স নয়, অন্য কোন ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত।

ইবোলা ভাইরাস সন্ধানী বিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে আফ্রিকার বৃষ্টিবনে এমন প্রচুর অজানা অচেনা ভাইরাস আছে যা সহজেই মানব শরীরকে সংক্রামিত করতে পারে। তিনি এমনও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে সেগুলো বিশ্বে অতিমারী ডেকে আনতে পারে। তাঁর বক্তব্যকে সত্য প্রমাণিত করে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইনগেন্ডে প্রদেশের এক মহিলা জ্বর ও রক্তক্ষরন নিয়ে ভুগতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা ইবোলা সহ নানারকম ভাইরাসের পরীক্ষা করেন কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ভাইরাসের সন্ধান পাননি। তাই এই রোগকে এক্স রোগ নামে চিহ্নিত করেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু” জানিয়েছে যে, এই ডিজিজ এক্স ধারণার মধ্যে নিলেও এই রোগ যদি ছড়িয়ে পড়ে তবে গোটা বিশ্ব এক মারাত্মক অতিমারীর কবলে পড়বে। জ্যাঁ জ্যাক মুয়েম্বে তামফুম, যিনি ইবোলা ভাইরাসের আবিষ্কারক, তিনি জানিয়েছেন যে পৃথিবী এখন এমন এক অবস্থায় আছে যেখানে নানারকম অজানা মারাত্মক ভাইরাস রয়েছে এবং এগুলো এত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড-১৯ এর থেকেও যা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী।

মুয়েম্ব জানিয়েছেন যে পশু দেহ থেকে নানারকম ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে মানুষের শরীরে। যদি তা হয় তবে গোটা বিশ্ব এক মারাত্মক অতিমারীর কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় কিনশাসা শহরে ন‌্যশান্যাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সংস্থায় কাজ করে যাচ্ছেন মুয়েম্বে।

প্রসঙ্গত বলা যায় যে কোভিড-১৯ চীন থেকে ছড়ানো হয়েছে বলে হৈচৈ পড়েছিল গোটা বিশ্বে। এই রোগের জন্য চীনকেই দায়ী করা হয়েছিল। আদতে কোভিভ-১৯ একটি বাদুড় বাহিত রোগ বলে বিশ্বের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ দল মেনে নিয়েছে। বিশ্বের বিশেষজ্ঞ মহলের মত এই যে, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে আসলে অরন্য ধ্বংস করার জন্য। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা অরন্য ধ্বংস অবিলম্বে বন্ধ না করলে বিশ্ব এক ভয়াবহ ভয়ংকর বিপদের দিকে চলেছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।