রাজ্য

সরকারি অর্থ অপচয় করে, বর্তমানে রাজ্যের রাস্তায় ভলভো বাস চালাতে অক্ষম সরকার


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ৫ ই জানুয়ারি২০২১:– – এই রাজ্যে মাস ছয়েক আগেও দূরপাল্লার এসি ভলভো বাস ছুটতে দেখা যেতো অহরহ, এখন কচিৎ তাদের দেখা মেলে। বছর পাঁচেক আগে থেকে পরিবহন দপ্তর এসি ভলভো বাস নামানো শুরু করেছিল। নেমেছিলো প্রায় শ’খানেক ভলভো। এর মধ্যে কলকাতাতেই সিএসটিসির ৬৩ টা বাস নামানো হয়েছিলো। সেগুলি আপাতত ডিপোতেই বিশ্রামে আছে মরচে ধরার অপেক্ষায়। কেন এই অবস্থা? একেকটা ভলভো বাসের কেনার খরচই প্রায় এক কোটি টাকা। প্রায় ৫০ কোটি টাকার ভলভোই বর্তমানে ডিপোয় বসে আছে। তার প্রধান কারণ অস্বাভাবিক তেল খরচ, ১ লিটার তেলে মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা যায়, যেখানে অন্য বাসগুলো এর দ্বিগুন রাস্তা পাড় হয়। উপরন্তু এদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক। যে সংস্থা এই ররক্ষণাবেক্ষণ করে তাদের কাছে সরকারের টাকা বকেয়া থাকায় তারা এই দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। ফলে কোটি কোটি টাকার ভলভো বাস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে, যা এক বিরাট অপচয়।

করোনা অতিমারিতে বাসে যাত্রী সংখ্যা নগন্য হওয়ায় পরিবহন নিগমের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। অনেক রুটের বাসও বাতিল করা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কাছে ডিজেলের দাম বাবদ সংস্থার বকেয়া সাড়ে তিন কোটি টাকার মতন। ফলে রাজ্যে বাস পরিবহনে সংকট উপস্থিত।

এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, এসি ভলভো বাসের তেল খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয় জেনেই তো প্রায় একশো সংখ্যক ভলভো বাস রাজ্য কিনেছিলো, তাহলে বর্তমান সমস্যা তো অজানার কথা নয়। অবশ্যই এসি ভলভো বাসের যাত্রী উচ্চবিত্ত শ্রেণির। যারা এখনও এই বাসকেই গুরুত্ব দেয়। তাহলে কি রাজ্য সরকার তেলের ওপর ট্যাক্স চাপানোর পরেও তেলের দাম বাড়বে ভাবেনি, না এর পেছনে আছে কোন বড় রকমের আর্থিক কেলেংকারীর গল্প? সময়ই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁড়তে খুঁড়তে সেই বিষের সন্ধান পাবে – এমনটাই মনে হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।