কলমের খোঁচা

‘রাম কে নাম পর’ এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।


গৌতম রায়: চিন্তন নিউজ: ২৭ শে আগস্ট :–আটের দশকের শেষ দিক। কেন্দ্রে রাজীব গান্ধী সরকারের পতন ঘটেছে ।প্রধানমন্ত্রীর আসনে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ। বামপন্থীরা তখন ট্রেজারি বেঞ্চে। চারিদিকে বেশ একটা খোলামেলা আবহাওয়া। রাজীব মন্ত্রিসভার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে বাংলার সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি দূরদর্শন কে যেভাবে ‘রাজীব দর্শনে ‘ পরিণত করেছিলেন, দূরদর্শন সেই অন্ধ স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা থেকে ক্রমশ বেরিয়ে আসছে।
হঠাৎ একদিন খবরের কাগজে দেখলাম ,সেই দিন রাত্রেই দূরদর্শনের জাতীয় সম্প্রচারে সম্প্রচারিত হবে সেই সময়ের তরুণ তথ্যচিত্র নির্মাতা আনন্দ পট্টবর্ধনের অল্প কিছুদিন আগে তৈরি করা তথ্যচিত্র ‘অন দি নেম অফ রাম’।
বিজেপি ও তখন ট্রেজারি বেঞ্চে বসার দরুন তথাকথিত রাম মন্দির ঘিরে ধীরে ধীরে আস্ফালন শুরু করে দিয়েছে। ইট পুজোর পাঁয়তারা কষলেও সেই ইট পুজো কে কেন্দ্র করে একদম ভূমি স্তরে কংগ্রেস ও বিজেপির ভেতরে বন্দোবস্তের দরুন পুজোর জোগাড় যন্ত্র তখনও সেভাবে শুরু হয়নি।
ছবিটি প্রদর্শনের খবর জানা মাত্রই বিষয়টি জানালাম অন্নদাশঙ্কর রায়কে ।তিনি বললেন;রাত্রে তো ছবিটা দেখতেই হবে।তাঁর সঙ্গে বসেই ,তাঁর বাড়িতে টেলিভিশনের পর্দায় দেখলাম আনন্দ পট্টবর্ধনের সেই অসামান্য তথ্যচিত্র,’ অন দি নেম অফ রাম’। সেই অসামান্য তথ্যচিত্রটিতে দেখলাম সেই পুরোহিতকে, যিনি বলছেন ;অযোধ্যার এমন কোনো জায়গা কি আছে, যেখানে শ্রীরামচন্দ্রের পদচিহ্ন পড়েনি? তাহলে কেন ওই বাবরি মসজিদ কে ঘিরে এই ধরনের আস্ফালন?
দেখলাম আরো একটি রাম মন্দিরের পুরোহিতকে। যিনি দাবি করছেন, তাঁর মন্দিরের ভেতরেই রাম কাহিনী নায়কের জন্ম হয়েছিল। অযোধ্যায় এমন হরেক রাম মন্দির আছে, যে মন্দির গুলির পুরোহিত, পৃষ্ঠপোষক বা ভক্তেরা দাবি করে থাকেন যে, তাঁদের মন্দিরের ভিতরে ই রাম কাহিনীর নায়ক, দশরথ নন্দন রামচন্দ্রের জন্ম ।
ভারতবর্ষের আমজনতার কাছে ধ্বনি ও দৃশ্যের ভেতর দিয়ে, অযোধ্যার হাজারো রাম মন্দিরের, হাজারো ভক্তের ,হাজারো পুরোহিতের, হাজারের রামচন্দ্রের জন্ম স্থান ঘিরে, হাজার রকম দাবিকে সম্ভবত সেই প্রথম সার্বিকভাবে পৌঁছে দিয়েছিল আনন্দ পট্টবর্ধনের এই ছবিটি। রাজীব জামানায় এই ছবিটি তৈরি হলেও, মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও, রাজীব গান্ধীর সরকার কিন্তু এই ছবিটি দূরদর্শনে দেখানোর সাহস করেনি।
সেই সাহস দেখালেন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং সরকার ।সেই সাহস দেখালেন সেই সরকারের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী, তেলেগু দেশম উপেন্দ্র ।ছবিটি দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন অন্নদাশঙ্কর। তাঁর নিজের আই সি এস জীবনের অভিজ্ঞতার নিরিখে, নানা স্মৃতিচারণ করে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে ঘিরে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শিবিরের বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে আনন্দ পাট্টবর্ধনের এই সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা তখন তিনি মুখর।
এমন একটি ছবি কেন এতদিন দূরদর্শনে দেখানো হয়নি ,তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অন্নদাশঙ্কর সেদিন বললেন; বেটার লেট দ্যান নেভার। তবুও তো এখনকার পরিবর্তিত রাজনৈতিক অবস্থায় ভারতবর্ষের আমজনতা ছবিটি দেখতে পেল।
তারপর নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী শিবির ,তাদের মূল প্রতিভূ আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি এবং তাদের বিভিন্ন রকমের সাঙ্গপাঙ্গরা ,বিশেষ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল ইত্যাদি ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ কে ভেঙে মাটিতে গুড়িয়ে দিয়েছে ।ধ্বংস করে দিয়েছে হাজার হাজার বছরের ভারতবর্ষের সমন্বয়ী, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাংস্কৃতিক সামাজিক পরিবেশ-পরিস্থিতিকে ।
তার পরেও অনেক সময় কেটে গেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে অনেকবার। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হয়েছে আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদী ।পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার অন্যতম উদগাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এইরকম একটি পরিস্থিতির ভেতরে শতবর্ষে অতিক্রান্ত প্রেসিডেন্সির ভিতরে আনন্দ পট্টবর্ধনের পরিচালিত ‘ রাম কে নাম পর’ ছবিটি প্রদর্শনের অনুমতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দিলেন না ।উনিশ শতকের নবজাগরণের আধুনিক চিন্তা চেতনা, বিজ্ঞানমনস্ক ,কুসংস্কারমুক্ত ,সমন্বয়ী চিন্তা-চেতনার প্রতিভূ প্রেসিডেন্সি কলেজ, এখন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে ।
সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের আয়োজিত এই ছবিটি প্রদর্শনের অনুমতি না দেওয়ার পেছনে ছাত্রদের ছবিটি প্রদর্শনের অনুমতি প্রার্থনার পদ্ধতিগত ত্রুটিকেই কেবলমাত্র উল্লেখ করেছেন ।প্রশ্ন হল , ছবিটি প্রদর্শন ঘিরে ছাত্রদের পদ্ধতিগত ত্রুটি, যেটি ছাত্ররা বলছে ,তাঁরা আবেদন জানিয়েছিল ,অথচ, কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ কাগজ দিতে অস্বীকার করেন। বিষয় যাই হোক, সেই ক্রুটিকেই একমাত্র এই ছবিটি প্রদর্শিত হতে না দেওয়ার কারন হিসেবে দেখিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কি কোনোভাবে সাম্প্রদায়িক ,মৌলবাদী শক্তির চোখ রাঙানির ভয়কেই এই ধরনের একটি ঐতিহাসিক ,বস্তুনিষ্ঠ তথ্য নির্ভর তথ্যচিত্র দেখাতে বাধা দিলেন?
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্য সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়। রাজ্য সরকার যে দলটি পরিচালনা করছে, সেই তৃণমূল কংগ্রেস, মুখে সাম্প্রদায়িকতা ,মৌলবাদের বিরুদ্ধতা করে থাকলেও, তাঁরা তাঁদের প্রত্যেকটি কাজের ভেতর দিয়ে এমন আচরণের প্রকাশ করে চলেছে গত ন বছর ধরে, যাতে সাম্প্রদায়িক ,মৌলবাদী শক্তিই শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী হচ্ছে।
তাঁরা এমন কিছু কাজ করছে যাতে আপাতভাবে মনে হচ্ছে ,তাঁরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হিতার্থে সেই কাজগুলো করছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ধর্মীয় কুসংস্কারের আস্তরণে ডেকে দিতেই তাঁরা সংখ্যালঘুদের ঘিরে যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে গত ন বছর ধরে ।
তার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ঘিরে তাঁদের এইসব পদক্ষেপের দরুন সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িক শক্তি ,মৌলবাদী শক্তি খুব সহজেই সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ,যাঁরা প্রত্যক্ষ ভাবে সাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী নন ,তাঁদের মধ্যেও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে ,এই ধারণা তৈরি করে দিচ্ছে যে ,একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতিত্বের দরুন সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায় ।
সত্য-মিথ্যার বালাই না রেখে, নানা ধরনের প্রচারের ফানুস কে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া’ সাম্প্রদায়িক প্রতিযোগিতা’র ‘ফসল’ হিসেবে তারা সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের মানুষের ভেতরে মুসলমান সম্প্রদায় সম্পর্কে একটা চরম বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি করে দিতে সমর্থ হচ্ছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আনন্দ পট্টবর্ধনের ছবিটি প্রদর্শিত হতে না দেওয়ার পেছনেও রাজ্য সরকার বা রাজ্য সরকার পরিচালনা করে যে রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস, তাদের এই ‘প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা’র নীতি ,ভাবাদর্শ যে অনেকখানি বেশি ক্রিয়াশীল ও শক্তিশালী– সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই ।
অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে ঘিরে হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী শক্তি আরএসএস ও তার রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির যে মিথ্যে প্রচার ,আনন্দের তথ্যচিত্রটি সেই মিথ্যে প্রচারের বিরুদ্ধে একটি ‘আণবিক বোমা’ বললে অত্যুক্তি হয় না ।
এই বোমা বিস্ফোরণের ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্র সমাজের ভেতরে ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক বিচারবোধ যাতে না গড়ে ওঠে ,সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে, সেই স্বার্থকেই আরও সুরক্ষিত করা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য ও আদর্শ। সেই লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রেখেই তাঁরা আনন্দ পট্টবর্ধনের এই ছবিটি প্রেসিডেন্সি প্রদর্শিত হতে দিল না।
মুক্তবুদ্ধি চর্চার পীঠস্থান হিসেবে প্রেসিডেন্সির যে ধারাবাহিক ঐতিহ্য ছিল, সেই ঐতিহ্যকে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ যেভাবে বিঘ্নিত করলেন, তা নিন্দা করবার জন্য কোনো শব্দ বন্ধনীই বোধহয় উপযুক্ত নয় ।ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে, আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ইতিহাস চর্চার ভেতর দিয়ে একটা সুস্থ স্বাভাবিক চেতনা সমাজের বুকে বিকাশের ক্ষেত্রে আনন্দ পট্টবর্ধনের’ অন দি নেম অফ রাম ‘ এই তথ্যচিত্রটি দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।
এই সামাজিক দায়িত্ব পালনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেই ভূমিকা রাখবার ক্ষেত্রে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে ,এটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারা যায় নি।
যদি ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন পদ্ধতিগত ত্রুটি আদৌ থেকে থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই সেই ত্রুটি সংশোধন করতে পারতেন ।সেই ত্রুটি সংশোধন করে ছবিটি দেখানোর প্রয়োজনীয় অনুমতি র পরিবর্তে তাঁরা ছবিটি দেখানোর যাবতীয় প্রচেষ্টায় কার্যত প্রতিপক্ষের ভূমিকা পালন করেছেন।
এ কথা বলতে এতোটুকু অসুবিধা নেই যে, মুখ্যত রাজ্য সরকার ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে মৌলবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার শব্দ উচ্চারিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের উপর রেগে যেতে পারে, অসন্তুষ্ট হতে পারে ,প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের পরিচয় দিতে পারে, এই ভয় থেকেই অনুমতি সংক্রান্ত একটি অছিলা কে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছবিটি প্রদর্শিত হতে দেয়নি।
আনন্দের বিষয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। যাদবপুরে যখন ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে তখন প্রেসিডেন্সিতে এটি প্রদর্শন হওয়ার ক্ষেত্রে অন্য রকম অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ছাত্র সমাজের আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক, মুক্তচিন্তা ,মনন ও মানসিকতাকে বুঝতে না চান, উপলব্ধিতে না আনেন ,তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কার্যত সাম্প্রদায়িক শক্তি লাভবান হতে পারে ,এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন –তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও বেদনার বিষয়। জাতীয় আন্দোলনের কাল থেকে শুরু করে পরবর্তী কালের নানা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রেসিডেন্সির ছাত্রসমাজ যে ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক ,ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের পরিচয় রেখে এসেছেন, সেই মূল্যবোধের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া এই সিদ্ধান্তকে প্রবল বিক্ষোভ ,আন্দোলনের ভেতর দিয়ে অস্বীকার করে ,আগামী দিনে বাধ্য করবে কর্তপক্ষকে আনন্দ পট্টবর্ধনের ঐতিহাসিক তথ্যচিত্র ‘রাম কি নাম পর’ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রদর্শিত হতে দেওয়ার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।