মল্লিকা গাঙ্গুলি:চিন্তন নিউজ:২৪শে মার্চ:- বর্তমান বিশ্ব এখন একই আতঙ্কের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে আছে। সেই আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। প্রথম, দ্বিতীয়, বা তৃতীয় সমগ্র দুনিয়া এখন কোরোনাতঙ্কে দিশাহারা। প্রত্যেকটি দেশ নিজ নিজ পদ্ধতিতে দেশরক্ষায় তৎপর। ভারতবর্ষ ও নিজের সাধ্যমত করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যথেষ্ট প্রয়াসী হলেও দেশের অর্থনীতি প্রায় থমকে যেতে বসেছে! পর্যটন, নির্মান, পরিবহনের মত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজ, সংস্কৃতি ও আজ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
ভারতের মত দেশে যখনই কোনো বিপর্যয় আসে তখনই তার ধাক্কাটা আছড়ে পড়ে দৈনিক মজুর থেকে অসংগঠিত শ্রমিক, হকার, মুটেমজুর,ছোট দোকানদার, পরিযায়ী খেটেখাওয়া হত দরিদ্র প্রান্তিক মানুষের উপর। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দরিদ্র জনতার খাদ্যাভাব, অপুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাব চরমসীমায় পৌঁছালে রাষ্ট্রশক্তিকেই তার থেকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসতে হয়। ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্য সরকারের ক্ষমতা সীমিত তাই কেন্দ্র সরকারের সহযোগিতা ছাড়া দেশের কোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করা সম্ভব হতে পারে না! সাম্প্রতিক মহামারী কোভিড-১৯ সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে গ্রাম গঞ্জের অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষ গুলির উপর। জীবন বাঁচলে জীবিকা বাঁচে। তাই এই প্রান্তিক মানুষদের জীবন বাঁচাতে কেন্দ্র সরকারের করনীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)।
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে; *কেন্দ্র সরকার যে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য ভাণ্ডারে মজুত করে রেখেছে তা অবিলম্বে খুলে দিতে হবে। সি পি আই এম পলিটব্যুরো দাবি তুলেছে দেশের এই সংকট কালে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার গুলিকে দেয় খাদ্যশস্যের পরিমাণ বিনা মাশুলে বাড়াতে হবে; আর রাজ্য সরকারকে বিনামূল্যে রেশন ব্যাবস্থা চালু করে দরিদ্র মানুষের ঘরে ন্যূনতম খাদ্যের যোগান দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে তারা বিবৃতিতে জানান ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২০ এর তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্রের হাতে এখন ৭.৫ কোটি টন খাদ্যশস্য সঞ্চিত আছে যা গুদামে পচছে। ঐ শস্য দানা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।।” বিনামূল্যে অন্তত খাদ্যের যোগান পেলে এই মুহূর্তে এই মানুষ গুলির জীবন রক্ষা হবে আর এই বৃহৎ সংখ্যাক মানুষদের গৃহে ধরে রাখতে পারলে ভয়ংকর মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণ রোধ করা ও সম্ভব হবে! কোভিড ঊনিশ থেকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লক্ষ্যে দল মত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র এই প্রেস বিবৃতি নিঃসন্দেহে বলিষ্ঠ ভূমিকা।