সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ:৭ই এপ্রিল:- চার দফা দাবিতে আজ সিপিআইএম ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটি ডেপুটেশন দিল স্থানীয় বিডিও দফতরে। এই দাবিপত্রে উল্লেখ করা হয় গ্রামীণ প্রান্তিক দুঃস্থ পরিবার গুলির, যাদের রেশন কার্ডের সমস্যা রয়েছে তাদের সকলের জন্য খাদ্য সুনিশ্চিত করতে হবে। অসংগঠিত শ্রমিকদের সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম গঞ্জে অসংখ্য পরিবার কাজ হারিয়ে এখন প্রায় প্রতিদিন কার্যত অনাহারে দিনযাপন করছেন।বহু মানুষ বিশেষ করে যুবদের বিরাট অংশের ছেলে এবং কিছু মহিলা ভিন রাজ্যে গিয়ে আটকে পড়েছেন সেখানেও যেমন তাদের খাদ্য সংকট হয়েছে, তেমনি তাদের পরিবারের যে সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে অসহায় হয়ে আছেন। এইসাথে কৃষি খেত মজুর মুটে মজুর সহ নানা পেশার দিন মজুর সকলেই বিরাট সমস্যার সন্মুখীন।এই সব প্রান্তিক মানুষের কাছে এখন করোনার চাইতে বড় আতঙ্ক পেটের ক্ষুধার। সি পি আই (এম) ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটি এই ধরনের সমস্যা নিয়ে চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার ডেপুটেশন দিল ধূপগুড়ির বিডিওকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষা নিয়েই বিডিওর সাথে দেখা করেন সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে দূর থেকেই দাবিপত্র তুলে দেন বিডিওর হাতে।
লক ডাউন চলছে দেশজুড়ে। করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে সব মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকার লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষের জীবন ধারনের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা করেনি। সি পি আই এম পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুকুলেশ রায় সরকার ও জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যা প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায়। কিছুটা দুরে উপস্থিত ছিলেন পার্টি নেতা তুষার বসু জয়ন্ত মজুমদা। খাদ্য দপ্তরের টোকেন বা সরকারি ত্রাণ নিয়ে দলবাজি শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য শাসকদল এই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেও গরিব মানুষের মুখের গ্রাস নিয়ে দলবাজি করছে। এদিন ডেপুটেশন দিয়ে বাইরে এসে এরিয়াকমিটির সম্পাদক মুকুলেশ রায় সরকার বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন ভাষণে বিজ্ঞাপনে বলছেন সবাই রেশনে খাদ্য সামগ্রী পাবেন কিন্তু এদিন বি ডি ও জানিয়েছেন – “সরকার কি বলছেন জানিনা কিন্তু আমরা সবাইকে খাদ্য সামগ্রী দিতে পারব না রেশনও সবাই পাবেন না।কারন সে পরিকাঠামো নেই”।
বিডিও আরও বলেন কোথাও দলবাজি নেই।আশ্চর্যের কথা হলো তিনি অনেক অভিযোগ পেয়ে তদন্তেও গেছেন তিনি দাঁড়িয়ে কিছু বিলি করেছেন অথচ এদিন বলছেন কিছুই নাকি হয়নি। বিডিও পার্টি নেতৃত্বকে বলেন আপনারা তালিকা দিলে কয়েকজনকে কিছু জি আর দেওয়া যেতে পারে। আবার তিনিই বলেছেন যা কিছু খাদ্য সামগ্রী এসেছিল সব পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে ওনার কাছে কিছু নেই।মুকুলেশ রায় সরকার বলেন সব কথাই অসঙ্গতিপূর্ণ। একটা বিষয় পরিস্কার হলো এই চরম দুরবস্থার মাঝে অনেক মানুষ অভুক্ত থাকবে সরকার নির্বিকার থাকবে। পার্টি নেতৃত্ব বলেন , তাদের যুব সংগঠন এবং কিছু সামাজিক সংগঠন খাদ্য সামগ্রী বন্টন করছে ঠিক কিন্তু আরও অনেক মানুষ অভুক্ত থাকবে।লকডাউন উঠে যাবার পর তারা ফের প্রশাসনের দরজায় আসবেন এই বঞ্চিত মানুষের দাবি নিয়ে।