চৈতালী নন্দী : চিন্তন নিউজ:-৫ই জানুয়ারি:–অবরুদ্ধ কাশ্মীরের জীবন যন্ত্রনার কথা শোনালেন বামপন্থী বিধায়ক তারিগামি।। পাঁচ মাস হয়ে গেল এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি কাশ্মীর। এখনও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা ,ফলে অতি প্রয়োজনীয় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। হাসপাতাল ,হোটেল ,স্কুল কলেজ সর্বত্র শ্মশানের নীরবতা।এখনও ঘরবন্দি একাধিক কংগ্রেস নেতা। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই ভূস্বর্গের একমাত্র অর্থনীতি, পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এই অবস্থায় সিপিআইএম এর বাঙলা মুখপত্র ‘গনশক্তি’র ৫৪ তম প্রতিষ্ঠাদিবসে কলকাতায় আসার সুযোগ পেয়েছেন কাশ্মীরে সিপিআইএম এর একমাত্র বিধায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি।দু’হাত দু’পাশে ছড়িয়ে তিনি এক বিবর্ন কাশ্মীরের ছবি তুলে ধরলেন ।তিনি বলেন ,কোনো হিন্দু ,মুসলিম বা কাশ্মীরী নয় তিনি একজন নাগরিক হিসেবে, দেশের একটি অংশের যন্ত্রনার কথা তুলে ধরতে চান।তিনি নিজেকে হিন্দুস্থানি হিসেবেই ভবিষ্যতেও দেখতে চান।
তিনি বলেন ভূস্বর্গকে ধ্বংসের যড়যন্ত্র চলছে। কাশ্মীরের ছেলেমেয়েরা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসতে চায় কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের স্বপ্ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে অবরুদ্ধ কাশ্মীরে।এই অবস্থায় হতাশায় যদি তারা পথভ্রষ্ট হয়,তবে তারা সন্ত্রাসবাদী বিচ্ছিন্নতাবাদীর তকমা পাবে। এদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি চিন্তিত।
সেদিন তার বক্তব্যের প্রতিটা শব্দ ছিল বারুদ ভরা।তিনি উল্লেখ করেন তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্যে তিন বার বাধা পেয়ে যেখানে সুপ্রিম কোর্টের আশ্রয় নিতে হয়ছিল, সেই সীতারাম ইয়েচুরি ই ‘আজাদ কাশ্মীরে’র প্রকৃত পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো জানেন।
এই যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে তিনি কখনও প্রত্যয় হারাননি।বলেন মোদী যতোই চেষ্টা করুক ,দেশ ও সংবিধান বাঁচানোর লড়াই জারি থাকবে।১৯৮৩ সালে জ্যোতি বসুর অকংগ্রেস দলগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে গড়া কনক্লেভ এর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলে এটা শুধু কাশ্মীরের সমস্যা নয়।শাহ মোদির হঠকারী সিদ্ধান্ত কাল বাঙলাকে রাতারাতি আসাম করে দিতে পারে।কাশ্মীরকে দিয়ে শিক্ষা নিন….সতর্ক থাকুন ,প্রতিবাদে থাকুন।