জেলা রাজনৈতিক রাজ্য

সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিছিল জলপাইগুড়ি শহরে


দীপশুভ্র সান্যাল, চিন্তন নিউজ, ৪ এপ্রিল: গোটা রাজ্য সহ জলপাইগুড়ি শহরেও পালিত হল শহীদ কমরেড সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালে ২রা এপ্রিল রাজ্যের কলেজ গুলিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে এবং কলেজ ক্যাম্পাস গুলিতে পঠন পাঠনের পরিবেশ পুনরায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে SFI‌এর আইন অমান্য আন্দোলনে শহীদ হন সুদীপ্ত গুপ্ত। এদিনের কর্মসূচিতে সুদীপ্ত গুপ্তর হত্যার সঠিক বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি আরো একবার পুনরুত্থান করা হয়। উক্ত কর্মসূচিতে এ দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন জেলা সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য কমরেড শুভময় ঘোষ। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব কমরেড অর্ঘ্যজ্যোতি সেনগুপ্ত ,কমরেড শুভম ঠাকুর, কমরেড কঙ্কন রায় চৌধুরী সহ লোকাল নেতৃত্ব কমরেড সৌম্য সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের মারে নিহত এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের সপ্তম শহীদ দিবসে জলপাইগুড়ি শহরে বড় সমাবেশ করল এস এফ আই ডিওয়াইএফআই। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার এসএফআই ডিওয়াইএফআই এর তিনটি লোকাল কমিটির উদ্যোগে আজ পান্ডাপাড়া কালিবাড়ির ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা পর্যন্ত ছাত্র যুবদের মহা মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। মিছিল শেষে কদমতলায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বক্তা এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এলজিবিটি কিউ আই এর নেতৃত্বরা। মিছিল শেষে ঘরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা মোরে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর এক লোকাল কমিটির সভাপতি অনুভব দে, বক্তব্য রাখেন এলজিবিটিকিউ এর পক্ষে মুকুল রায়, ডিওয়াইএফআই এর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক সাম্য সরকার সহ অন্যরা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য শুভঙ্কর গুহ রায় জেলা সম্পাদক প্রভাকর সরকার, সদর এক এবং দুই লোকাল কমিটির সম্পাদক অর্ঘ্যজ্যোতি সেনগুপ্ত, শুভম ঠাকুর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কর্মসুচিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের দিকে দিকে জয়ী করার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্র যুব নেতৃত্ব জানান সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠন করলে ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিয়ে জলপাইগুড়িতে পুর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শিক্ষাকে বাজারের হাতে তুলে দিতে চাইছে। তাই আজ সরকারি স্কুলে প্রতি বছর ছাত্রদের সংখ্যা কমছে, প্রাইভেট স্কুল মুখি হচ্ছে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা। শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ রুখতে সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরী গত ১০ বছরে নিয়োগের নামে প্রহসন হয়েছে, হয়েছে দুর্নীতি। সংযুক্ত মোর্চা সরকার গঠন করলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে কর্মসংস্থানের বিষয়ে। এক বছরের মধ্যে সমস্ত সরকারি ক্ষেত্রে শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে স্বচ্ছতার সাথে। তাই আপনার ঘরের ছেলে মেয়ের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবারের নির্বাচনে আপনার বিধানসভার ক্ষেত্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করুন।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।