দেশ রাজনৈতিক

সারাভারত কৃষক সভা দেশে কৃষক প্রতিবাদের ঐক্য গড়ে তোলায় অগ্রণী


কল্পনা গুপ্ত : চিন্তন নিউজ:৪ঠা ডিসেম্বর,২০২০:- সারা ভারত কৃষক সভা ২০১৪ তে ল্যান্ড বিলের প্রতিবাদ করেছিলো, আবার ২০১৮ তে মহারাষ্ট্রে কয়েক হাজার কৃষকের লং মার্চে একসাথে থেকেছে। সারাদেশে সাধারণ মানুষের প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য মূলক বিষয়ের প্রতি বিষয় ভিত্তিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সিপিআইএম সবসময়েই সমর্থন করে এসেছে। তেমনি ঠিক এই মূহুর্তে সর্বনাশা কৃষি আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী শহর দিল্লিতে যে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে তাকে বৃহত্তর রূপে ছড়িয়ে দেবার প্রধান দায়িত্ব পালন করছে সারা ভারত কৃষক সভা পাঞ্জাব কৃষক সংগঠন সমন্বয় কমিটি এবং অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলির সাথে মিলিত ভাবে।

২০১৪ সালে যখন এন ডি এ সরকার ল্যান্ডবিলের উত্থাপন করে তখন সারা ভারত কৃষক সভা চেষ্টা করেছিলো এক বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনশোটির বেশি সংগঠনকে নিয়ে, যার মধ্যে ছিলো উপজাতি, অরণ্যের অধিকার, এমনকি মৎস্যজীবীদের সমস্যাগুলি। মনস্যুর ঘটনার পর যখন প্রতিবাদী কৃষকদের মৃত্যু ঘটেছিলো তখনও সারা ভারত কৃষক সভা এর প্রতিবাদে গড়ে তুলেছিলো সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। অনেক সময়েই সব বিষয়ে ঐক্যমতে না থাকা সংগঠনগুলিকেও প্রয়োজনে বিষয়ভিত্তিক ঐক্যমত গড়ে তুলে প্রায় ২৫০ টি সংগঠনকে সহমত হয়ে এই কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে, যেমন- সঠিক শ্রমমূল্য, ঋণমুক্তি ইত্যাদি বিষয়। একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করলে অনেক বেশি সাফল্য আসে। – কথাগুলি জানান কিষাণ সভার যুগ্ম সম্পাদক ভিজ্জো কৃষ্ণান। এই সমন্বয় কমিটি পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে এক বিরাট লড়াই করছে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে।

ভিজ্জো আরো বলেন – ” কৃষক শ্রমিক, ছাত্র- নারী সকলের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম, এমনকি আইনজীবী, ডাক্তার ইত্যাদি পেশার ক্ষেত্রেও এমন ব্যাপক সংগ্রাম আগে কখনও দেখা যায়নি। আমাদের পরিকল্পনা আছে এই আন্দোলন আরো তীব্ররূপে এবং ব্যাপকভাবে সারাদেশে গড়ে তোলা। পাঞ্জাবের এই কৃষক আন্দোলনের ঘরানা দেশের দূরবর্তী অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের এক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংগঠনের ভূমিকা হবে উল্লেখযোগ্য। “


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।