রম্যনাথ মাঝি:চিন্তন নিউজ:১০ই ফেব্রুয়ারি :–আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে নেমে পড়েছেন সরকারি পলিটেকনিক কলেজের চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। এরফলে অধিকাংশ পলিটেকনিক কলেজের যেমন জয়পুর, হিলি, রঘুনাথপুর, তেহট্ট, গয়েশপুর, মেদিনীপুর সদর, ঘাটাল, রানাঘাট ইত্যাদি পঠনপাঠন প্রায় বন্ধ।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭৮টি পলিটেকনিক কলেজ আছে। যার অধিকাংশই চলে চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। ২০১৫ সাল থেকে যে সমস্ত পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে, সেইসব কলেজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে এই চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মীরা।এবং কলেজের বিভিন্ন বিভাগ যেমন ল্যাবরেটরি, অফিসিয়াল কর্মযজ্ঞ সমস্ত দক্ষতার সাথে পালন করে এসেছেন এঁরা।
চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয়নি দীর্ঘ সাত/আট বছর। সরকারি শিক্ষক,শিক্ষা কর্মীদের তুলনায় চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতনের ফারাক প্রায় ৪৫থেকে ৫০ হাজার টাকা।যদিও তাঁরা একই সময় ও দক্ষতা দিয়ে চলেছেন।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে গত ছয়মাস যাবৎ চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কোনো বেতন পাননি। বারবার কারিগরী শিক্ষাদফতরের সাথে কথা বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বারবার কারিগরি শিক্ষা দফতর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনরত চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , ছয়মাসের বেতন না পাওয়া, আর্থিক বঞ্চনার থেকে মুক্তি না দেওয়া এবং বেতন কাঠামোর সন্তোষজনক সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের পঠনপাঠন না হওয়া এবং কলেজের দাবি ছিলো : অনিয়মিত ক্লাসের সমস্যার সমাধান , লাইব্রেরির সমস্যা , জলের সমস্যা , প্লেসমেন্ট সমস্যা , ওয়ার্কশপে পর্যাপ্ত মেসিন , য়ন্ত্রাদি নেই , নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানায়।তাদের দাবিদাওয়া ও পঠনপাঠন সুষ্ঠুভাবে নাহ’লে সরকারি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আরও বৃহত্তম লড়াই আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে।