রাজ্য

কমরেড (প্রকৃত অর্থে কমরেড) বুদ্ধবাবু সুস্থ হয়ে উঠুন


রোহন ঘোষঃ, নিজস্ব প্রতিবেদন:- – চিন্তন নিউজঃ-যেখানে শাসকদলের চুনোপুটি নেতারাও বিদেশি গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাহন আগাগোড়া সেই সাদা অ্যাম্বাস্যাডর। আসলে এই মানুষটি যে শুদ্ধতার প্রতীক। জনগণের টাকা নিজের জন্য খরচা করা তো দূর এমন ভাবনাও ভাবতে পারেন না তাই দীর্ঘদিন চোখের সমস্যায় ভুগছেন তবু সরকারি খরচায় চিকিৎসা করাতে নারাজ।
আজ তো চোখে পড়ে রাজ্যের যুবরাজ,দেশের রাজা, দামি গাড়ি দামি পোশাক ব্যবহার করছে কিন্তু এই মানুষটি তার রাজনৈতিক দলের আদর্শের জলজ্যান্ত উদাহরণ তার পরনে সেই শুদ্ধতার পরিচয় পাওয়া যায় ধুতি ও ফতুয়া পাঞ্জাবি।
তবে এই মানুষটি সরকারি খরচে অর্থাৎ জনগণের টাকায় দামী গাড়ি বা পোশাক বা দেশের মন্ত্রীদের মতো আলিশান হোটেলে থাকা খাওয়ার স্বপ্ন না দেখলেও একটি স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেটি হল দেশের যুব সমাজের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরি করার স্বপ্ন।
রাজ্যে শিল্প এনে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। ITI,IIT এর মাধ্যমে সঠিকভাবে শিক্ষা দিয়ে যুবসমাজকে কর্মমুখী করার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন।
কিন্তু ওই যে কথায় আছে না – “বানর কি জানে আঙ্গুরের স্বাদ”। আমরা তার স্বপ্নকে ডেনামাইট দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলাম। আমরা সেই বানর হয়ে গেলাম পিছিয়ে গেলাম বহু বছর পিছনে বাংলা চলে গেল মাদকের নেশায়।
২০১১ সালে যখনই মানুষটি তার স্বপ্নের ঝুলিটা বন্ধ করে রাইটার্স বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে গেলেন তখন অনেকে হেসেছিলাম আমরা বুঝতে পারলাম না মানুষটা আমাদের এক চিরস্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে আমাদের মা বোনেদের ২০০,৫০০ টাকার জন্য ভিক্ষা করতে না হয়। এই মানুষটি বাড়ির একমাত্র ছেলেটিকে ভীন রাজ্যে কাজের আশায় ঘুরে বেড়াতে দিতে চাননি। তিনি বিশ্ব বঙ্গ মুখে বলেননি তিনি বাংলাকে বিশ্ব মন্দার মধ্যেও সযত্নে গড়তে ও রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
আজ বহু মানুষ জানে বা ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই এই মানুষটির সময়কালের সুবর্ণ দিনগুলি হারিয়ে গেলেও এই সৎ হৃদয় মানুষটিকে আমরা হারাতে চাই না তাই তার দ্রুত সুস্থতা রাজ্য বাসির একান্ত কাম্য।

কমরেড (প্রকৃত অর্থে কমরেড) বুদ্ধবাবু সুস্থ হয়ে উঠুন এখনো অনেক পথ বাকি—


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।