কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:৩০শে জুন:- পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করোনভাইরাস সম্প্রসারণে ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত এমন পাঁচটি রাজ্য থেকে ট্রেন চালানো বন্ধের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। শুধু তাই নয় ঐ পাঁচটি রাজ্য থেকে অভ্যন্তরীণ উড়ান পরিষেবা বন্ধেরও অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন ঐ পাঁচটি রাজ্য ব্যাতীত অন্যান্য রাজ্য থেকে সপ্তাহে একদিন বিমান চালানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কলকাতা মেট্রো পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তা কাটছে না। মেট্রো পরিষেবা শুরু করার জন্য রেল, স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র — এই তিনটি মন্ত্রকের সমন্বয়সাধন প্রয়োজন।
রাজ্যের মুখ্যসচিব, অন্ততপক্ষে কিছু সময়ের জন্য ঐ করোনা আক্রান্ত বিশেষ পাঁচটি রাজ্য থেকে ট্রেন না চালানোর অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জী ঐ পাঁচটি রাজ্যের নাম সাংবাদিকদের কাছে না বললেও একজন সিনিয়র অফিসার বলেন রাজ্যগুলি হল দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশ। এর আগেও এই রাজ্য থেকে আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়েরেন্টাইনে রাখা হত। তিনি আরও বলেন,” আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ফ্লাইটের অনুমতি না দিয়ে প্রতি সপ্তাহে একদিনই অভ্যন্তরীণ বিমান চালানোর জন্য অনুরোধ করব। তাহলে সেটি পরিচালনা করা আরও সহজ হবে।”
মমতা ব্যানার্জী এর আগেও আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও আপত্তি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ জুলাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক উড়ান বন্ধ রেখেছে, অভ্যন্তরীণ ট্রেন ও বিমানগুলি বর্তমানে চলছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়ার বিনিময়ে ‘বন্দে ভারত’ মিশন কাজ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী গত শুক্রবার মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে ১ জুলাই থেকে ট্রেন চালানোর অনুরোধ জানান। আপাতত ১২ আগস্ট পর্যন্ত মেট্রো এবং শহরতলির সমস্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব এর সঙ্গে এক সভা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আপাতত জরুরী পরিষেবাগুলি চালু করবেন যাতে চিকিৎসক, পুলিশ ও অন্যান্য সামনের সারির কর্মচারীরা এর সাহায্য পেতে পারেন। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সচিব এ ব্যাপারে দ্রুততার সঙ্গে কথা বলবেন।”
১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে টেলি-ওষুধ পরিষেবা। হাসপাতাল বা ক্লিনিকের পরিবর্তে টেলিফোনে রোগীদের পরামর্শ দেবেন ডাক্তারবাবুরা। প্রতিটি জেলায় থাকবে ডেডিকেটেড টেলিফোন লাইন। তিনি আরও জানান স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩০ লক্ষ ফেসমাস্ক সংগ্ৰহ করবে রাজ্য এবং তা সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে।
উল্লেখযোগ্য এটাই পিপলস রিলিফ কমিটির(পি আর সি) সহায়তায় টেলিকনফারেন্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সীমিত পরিসরে হলেও শুরু করেছে কিন্তু বামপন্থীরাই। অনেক দেরীতে, বিনা চিকিৎসায় অনেক মৃত্যুর বিনিময়ে টনক নড়েছে সরকারের। কাজ আর কথার পার্থক্যে কোনো ফারাক নেই কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের। এক্ষেত্রেও কতদূর কী হয় সেটা সময় বলবে।