জেলা

কাপড়ের দোকান খোলা কিন্তু আসছে না ক্রেতা


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:১৮ই মে:– জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার এলাকার যেখানে  শহরের ছোট বড় সব ধরনের কাপড়ের দোকান যার পোশাকি নাম কাপড় পট্টি। গতকাল বেলা তখন ঠিক১:১৫  দোকান খোলা বড় বড় লাইট ফ্যান চলছে কিন্তু দোকানিরা কেউ খবরের কাগজ পড়ছেন আবার কেউ নিজেদের মধ্যে কর্মচারীদের সাথে গল্প করছেন।তার ঠিক সামনে হাত গুটিয়ে  সেলাই মেশিন নিয়ে বসে আছেন যে গরিব মানুষটি তার নাম মনোহর সরকার। মশারি, পায়জামা-পাঞ্জাবি, বিছানার চাদর, বালিশের ওসার- পিস কেটে যিনি নিজে হাতে বানিয়ে খদ্দেরদের হাতে তুলে দেন।  তার থেকে যে রোজগার হয় তাই দিয়ে দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থান হয় তার। উল্টোদিকে শাটার নামিয়ে পাশে একটি তুলে বসে আছেন এক মহিলা মেয়েদের নকল গয়না বিক্রি করে যার দোকান চলে।

গোটা এলাকায় একজন ক্রেতা নেই কাপড় ব্যবসায়ীরা অভিযোগের সুরে জানালেন, গতবছর লকডাউনে আমাদের তিন চার মাস বিক্রি-বাট্টা ছিলনা এবছর সরকারের লকডাউন করে নি ঠিকই কিন্তু প্রশাসনের তরফ সে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাতে কোন ক্রেতা জামা-কাপড় কিনতে বাজারে আসছেন না সকালে মাছ বাজার সবজি বাজারের সময় এক তারপর খোলা সোনার দোকান, কাপড়ের দোকান আর প্রায় সারাদিন খোলা মিষ্টির দোকান। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মানুষ শুধু সকালবেলা বাজার করছেন প্রয়োজন একটু ব্যাংক বা এটিএম থেকে টাকা তুলছেনে কিন্তু আর ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

কদিন আগে ঈদ চলে গেল করোণা অতিমারির জেরে এবার ঈদেও বাজার ছিল মন্দা। তারপর অঘোষিত লকডাউন সকাল থেকে দোকান খুলে বসে থাকলেও গত তিনদিন কোন বউনি হয়নি অনেকেই কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকের দোকান খুলে ইলেকট্রিক বিল কর্মচারীদের মাইনে দিয়ে হিসেব করে দেখা যাচ্ছে ঘরে দুটো পয়সা নেওয়ার বদলে ঘর থেকে পয়সা খরচ করে দোকান চালাতে হচ্ছে। বাজারে সেলাই মেশিন নিয়ে বসা মনোহর বাবু জানালেন এভাবে আর বেশিদিন চলতে থাকলে করোনায় মৃত্যু হবে কিনা জানিনা না খেতে পেয়ে মরতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।